রিকশাচালকের পুত্রের জিপিএ ৫ অর্জন

পিবিএ, কুষ্টিয়া: শামিম দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করলেও কোন দারিদ্রতাই তাকে লেখাপড়া থেকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। রিকশাচালক বাবার সন্তান হয়েও দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ছিনিয়ে এনেছে সেরা সাফল্য। কিন্তু এত বড় সাফল্যেও হাসি নেই শামীমের মুখে। শামীম এখন তার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।

জিপিএ ৫
শামীম

জানা গেছে, উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামের রফিকুল ইসলামের ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের বড় সন্তান শামীম। বোন শামিমা ভবানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী, আট মাস বয়সী আরেক ভাই আব্দুর রহমানকে নিয়েই শামীমদের সংসার।

রফিকুল ইসলাম অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু ছেলে শামিমের লেখা পড়ায় যথেষ্ট সতর্ক দায়িত্ববোধ ও সময়মত অর্থ যোগান, দেখভাল কররাও কমতি ছিল না। শামিম ২০০২ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নে ভবানীগঞ্জ গ্রামে দারিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। শামিম লেখাপড়ায় প্রথম থেকেই ভাল।

সে ভবানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পিএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গোল্ডেল প্লাস, ধোকড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ ফাইভ, এবার ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ধোকড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে।

অদম্য শামিম বলেন বলেন, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি, পরিশ্রম করলে সব কিছুই সম্ভব, আমি পরিশ্রম করছি এবং আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাবা মায়ের সহযোগিতা দেয়ার কারণে আমার এই সাফল্য। শামীম তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেও প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শামীম বড় হয়ে সেনাবাহিনীর অফিসার হতে চায়। সে এখন চিন্তিত তার উচ্চ মাধ্যমিকের লেখাপড়া নিয়ে। দরিদ্র বাবার সংসারে তার জন্য লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর হবে। এজন্য মেধাবী শামীম সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য চেয়েছে।

পিবিএ/কেএস/আরআই

আরও পড়ুন...