কে কে সিং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে মোটরসাইকেলে ২২ অঙ্গরাজ্য ভ্রমণ

পিবিএ,রিপোর্ট: ভারতীয় যুব নেতা ড.কেকে সিং ১১,০০০ কিলোমিটার (৬৮৩৫ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের ২২টি অঙ্গরাজ্যে মোটরসাইকেলে করে ঘুড়ে বেড়িয়েছেন। তিনি ২২টি রাজ্যের প্রতিটি ঘরে দুর্নীতি ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ কে সামনে রেখে।

ড. কেকে সিং এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা নিচে উল্লেখ করা হল:

১. ড. কেকে সিং একজন ভারতীয় বিখ্যাত সুপরিচিত যুবকর্মী এবং সেই সাথে আন্তর্জাতিক যুব কমিটির প্রবর্তক ও চেয়ারম্যান।

২. সে একজন আইকনিক মাল্টি হিউম্যানিটেরিয়ান পদকধারী, যুব ধর্মযোদ্ধা, লেখক এবং সেই সাথে একজন বিশ্ব ভ্রমণকারী। তিনি ১৭০টি দেশের বিভিন্ন যুবকদের ক্ষমতায়ন করেছেন শিক্ষা সংক্রান্ত রিসোর্স প্রদান করে, নেতৃত্বের সুযোগ সুবিধা দিয়ে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে একটি বিশ্ব নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করে। তিনি বর্তমানে যুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভারতীয় এবং বিশ্বের অন্যান্য ৩০০০ শিশুকে সহায়তা করেছেন বিনামূল্যে শিক্ষা, খাবার, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে যা কিনা তার জীবনের সবচেয়ে বড় মিশন এবং স্বপ্ন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পুরস্কার/সম্মাননা পেয়েছেন তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ। তিনি “Beyond মালালা” “বিকামিং গ্লোবাল ম্যান” এবং “দ্যা লিডিং লিডার”সহ বহু বইয়ের লেখক।

৩. তিনি বর্তমানে চন্ডিগড় থেকে ১১০০০ কি.মি. পথ ৪৫ দিনের মোটরসাইকেল অভিযানে বের হয়েছেন যা কিনা সারা ভারতের ২২টি অঙ্গরাজ্য জুড়ে সম্পন্ন করবেন তীব্র গরম এবং প্রচন্ড তাপমাত্রা উপেক্ষা করে। তার অভিযানের প্রধান বিষয় হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ সামনে রেখে শক্তিশালী যুব প্রজন্ম ,উত্তম ভারত, স্ট্রং ইয়ুথ, বেটার ইন্ডিয়া শ্লোগান সামনে নিয়ে। “Democracy on Wheels” সে মূলতন্ত্র আট কোটি দেশের নতুন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং গনতন্ত্রে অংশ নিয়ে ভোটে তাদের নিজেদেরকে জানান দিতে। এটা বলা যেতে পারে যে, ভারত বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অনুযায়ী র‌্যাংকিং হলো ৪ নম্বরে।

তিনি আরো বলেন, আমি সকল রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের নেতানেত্রীদের, অংশগ্রহনকারীদের এবং জনগনকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং টাকা দিয়ে ভোট কেনা, এগুলোকে দমন করার জন্য পার্লামেন্টের সামনে এবং সকল রাজ্যের সকল জমায়েত হাউসের সামনে যেখানে নীতি নির্ধারকরা ভিতরে বসে আছেন সেখানে বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কঠোর বার্তা দিচ্ছি।

 

পিবিএ/এইচটি/আরআই/জেডআই

আরও পড়ুন...