পিবিএ, রাবি: রমজান ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) আবাসিক হলের ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। ডাইনিং বন্ধ থাকায় রমজানে নগরীর কাজলা, তালাইমারী, ভদ্রা এলাকায় রাতের খাবার খেতে হচ্ছে। কিন্তু রাতের খাবার খেলেও সেহেরীতে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া বাইরের এসব খাবারের দামও তুলনামূলক অনেক বেশি। হল থেকে খাবাবের জায়গাগুলো একটু দূরে হওয়ায় একদিকে যেমন সময় অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে গুনতে হচ্ছে বেশি অর্থ। ফলে ব্যাপক দূর্ভোগে দিন পার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শহিদুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রায়হান কবীর পিবিএ’কে জানান, রমজানে ডাইনিং বন্ধ থাকায় রাতের খাবার ও সেহেরী তালাইমারী, ভদ্রাতে খেতে হচ্ছে। ফলে হল থেকে বারবার এভাবে গিয়ে রাতের খাবার ও সেহেরী খেতে সময় অপচায় ছাড়াও খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, আমাদেরসহ ক্যাম্পাসে কয়েক ব্যাচের পরীক্ষা চলছে। যদি এভাবে খাবারের জন্য ভোগান্তি হয় তবে পরীক্ষা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানসহ ক্যাম্পাসে খাবাবের অস্থায়ী দোকান চালুর দাবি জানান শিক্ষার্থী।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আরিফা তাবাসসুম পিবিএ,কে জানান, আমাদের ছাত্রী হল থেকে খাবাবের দোকান অনেক দূরে। তাছাড়া হল থেকে সন্ধ্যার পরে বের হওয়ার কোন নিয়ম না থাকায় রাতের খাবার দিনেই আনতে হচ্ছে। আর প্রচন্ড গরম থাকায় বেশির ভাগ সময় খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হলে খাবার রান্না করাও নিষেধ করা হয়েছে। তাই দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন তিনি।
রুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রবিউল আওয়াল জানান, ক্যাম্পাসের অস্থায়ী দোকানগুলো ইজারা কমিটি তুলে দিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে এ সমস্যাগুলো আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে শহীদ আব্দুল হামিদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছি বলেন।
প্রসঙ্গত, রুয়েটে রমজান ও গ্রীষ্মকালীন ৪২ দিনের ছুটি শুরু হয় গত শনিবার থেকে। তবে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ি বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষাসমূহ চলবে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত অফিসসমূহ খোলা থাকবে। কিন্তু গত ২৫ এপ্রিল থেকে হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
পিবিএ/আহো/হক