সোনালী ধানের মধ্যে বেগুনি রঙের বড়া নখা

পিবিএ,মৌলভীবাজার: চতুর্দিকে পাহাড়া মাঝে মাঝে মানব বসতি মধ্যখানে খোলা জায়গায় ফসলি (ধানের) জমি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সরইবাড়ি দুর্গম পাহাড়ী গ্রামের সোনালী ধানের জমিতে বেগুনি রংঙ্গের বড় নখা কে দেখা যায়।

বড়া নখা
বেগুনি রঙের বড়া নখা

কৃষকের চাষ করা সোনালী ধানের জমির মধ্যেই সবুজ পাতা বিশিষ্ট বেগুনি রংঙ্গের বড়নখা ফুল আগাছা মত দাঁড়িয়ে আছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সোনালী ধানের মধ্যে বেগুনি রংয়ের বড় নখা কৃষকের চাষকৃত সমন্বিত ফসল। কিন্তু না সোনালী ধানের মধ্যে বেগুনি রংঙ্গের উদ্ভিদটি আগাছা। বাংলা নাম বড় নখা ইংরেজি নাম Arrow pondweed বৈজ্ঞানিক নাম monochoria hastata। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা খাল-বিল ও হাওর অঞ্চলে পাওয়া যায় জলদ উদ্ভিদ বড়নখাকে। এটি মূলত জলজ বর্ষজীবী উদ্ভিদ।

শুকনা জমিতে বড় নখা এই জলদ উদ্ভিদটি টিকে থাকতে পারে না। নদী-নালা খাল-বিল ও হাওয়ার অঞ্চল জল প্লাবিত ছাড়া বড় নখা উদ্ভিদটি পাওয়া যায় না। জল প্লাবিত ধানের জমিতে ধানের মাঝে মাঝে আগাছার মত টিকে থাকে বড়নখা উদ্ভিদ। ৫০ সেন্টিমিটার থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে অনুকূল পরিবেশ পেলে আরো লম্বা হতে পারে। বড়নখা উদ্ভিদের পাতা দেখতে অনেকটা বর্ষাআকৃতির এবং ফুল গুলো বেগুনি রংঙ্গের, কান্ড থেকে একসাথে গুলাকার ভাবে অনেক গুলো ফুল ফুটে যা দেখতে অনেকটা পদ্মফুলের পাপড়ির মত। যদিও তাদের মধ্যে বেশ পার্থক্য বিদ্যমান।

বড়নখা উদ্ভিদের পাতা অনেক উপজাতি সম্প্রদায় সবজি হিসেবে খান। গ্রাম অঞ্চলে এর পাতা গরু মহিষের খাবার হিসেবে যোগান দেয়। (IUCN) ইন্টার্নেশনাল ইউনিয়ন কন্সেরভেশন ফর নেচার বড়লেখা উদ্ভিদকে বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পিবিএ/এএম/আরআই

আরও পড়ুন...