ঝিনাইদহে তালিকাভুক্ত রাজাকারের নামে স্কুল

পিবিএ,ঝিনাইদহ: ১৯৭১ সালে মনবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত আব্দুর রশিদ রাজাকারের নামে গড়ে তোলা হয়েছে একটি প্রতিবন্ধি স্কুল। দেশে যখন মনবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচার করে দেশকে কলংকমুক্ত করা হচ্ছে ঠিক সেই সময় রশিদ রাজাকার হলিধানী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে রাম রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন। কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তিনি মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

তালিকাভুক্ত রাজাকারের নামে স্কুল
আব্দুর রশিদ

হলিধানী বাজারে একাধিক বাড়ি, মাঠে জমি ও ঢাকায় ফ্লাট কেনা হয়েছে। ব্যাংকে নামে বে নামে টাকার পাহাড় গড়ে উঠেছেন। সবচে বড় কথা সে রাজাকার। তার ক্ষমা পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু সে ক্ষমা তো পাচ্ছেই সেই সাথে খোদ সরকারী দল ও প্রশাসনের ছাতার নিয়ে আশ্রয় পাচ্ছে অবলিলায়। এই রশিদ রাজাকারের নামে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে আশির উদ্দীন নামে এক মুক্তিযোদ্ধা মানবতা অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করেন।

কিন্তু সে সময় হতদরিদ্র আশির উদ্দীন মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মামলা তুলে নেন। তা না হলে আজ ফাঁসিতে ঝুলতে হতো রশিদ রাজাকার ও মসলেম রাজাকারের। মসলেম রাজাকার জামায়াতের নেতা ছিল। বিএনপি ক্ষমতায় ছিল বলেই তারা রেহায় পেয়ে যান। যেমনটি এখনো পাচ্ছেন। ৭১ সালে রশিদ রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা আশির উদ্দীনের ভাই, পিতাকে গুলি করে হত্যা করেছিল।

পুড়িয়ে দিয়েছিল তাদের ঘরবাড়ি। সেই রশিদ আজ আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি যে রাজাকার সরকারী দলিলপত্রে প্রমান মিলেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে করা তালিকায় হলিধানী ইউনিয়নের ২৭ জন রাজাকারের মধ্যে তার নাম ১ নাম্বারে। সেখানে লেখা আছে আব্দুর রশিদ, পিতা আব্দুল হামিদ, সাং কোলা।

এই তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক আহম্মেদ, সমাজসেবা অফিসার মোমিনুর রহমান ও তৎকালীন ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান। এই তালিকা সরকারের রেকর্ড রুমে সংরক্ষিত আছে। ইতিমধ্যে ঢাকার আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনাল আদালতের একটি দল এই বিষয়টি গোপনে তদন্ত করে গেছেন।

কিন্তু তিনি আওয়ামীলীগ করায় সব পক্রিয়া থেকে বেঁচে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজাকার আব্দুর রশিদ গনমাধ্যমকে জানান, তিনি কখনোই রাজাকার ছিলেন না, আর তার নাম রাজাকারের তালিকায় আছেন কিনা তাও তিনি জানেন না।

পিবিএ/এটি/আরআই

আরও পড়ুন...