কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন

পিবিএ,কুড়িগ্রাম: ভারি বৃষ্টি আর উজানের ঢলে এবার বর্ষা মৌসুমের আগে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে থাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। সে সাথে ভেঙে যাওয়া বাঁধ এবারও মেরামত না হওয়ায় বন্যার কবলে পড়ার আশংকায় নদী পাড়ের মানুষ। আর শুষ্ক মৌসুম পার হলেও বরাদ্দ নেই বলে যথারীতি হাত গুটিয়ে বসে আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নদী ভাঙন
কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন

জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬ নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করায় বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। এরমধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলার খেলারভিটা ও কুমরিয়ারপাড় গ্রামে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুধকুমারের ভাঙন চলছে। ভাঙনে গত ৩ দিনে ২০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে গাছপালা ও আবাদী জমি। সেইসাথে ভাঙনের মুখে পড়েছে খেলারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় ভবন।

প্রায় ৭ বছরে জেলার ২৯টি পয়েন্টে ২৭ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। এরমধ্যে ৪ বছর আগে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর থেকে গারুহারা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামত করা হয়নি। ফলে প্রতি বছর বন্যার কবলে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে এখানকার মানুষ। বাঁধ মেরামতে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও শুধু আশ্বাস ছাড়া কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

বরাদ্দ পাওয়া গেলে বাঁধগুলো মেরামত করা হবে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৭ সালে যে বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেগুলো জরুরি ইতোমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। আরো বাঁধগুলো যেগুলোর মেরামত দরকার সেগুলো মেরামতের চেষ্টাও চলছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৭টি পয়েন্টে ২৩ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতে ৬শ ৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

পিবিএ/এমআইবি/আরআই

আরও পড়ুন...