ধর্ষক শাকিলের ফাঁসির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

পিবিএ,গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলার পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামে ৯ বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর ধর্ষক শাকিলের ফাঁসির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে ডি বি রোডে ঘন্টাব্যাপী অভিভাবক ও পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামের এলাবাসীর আয়োজনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন
ধর্ষক শাকিলের ফাঁসির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ইয়াসিন আলী, আলামিন মিয়া, আতিকুর ইসলাম, মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম, ঐশি, সোহাগ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নারীদের ষোশিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত হওয়ার জন্য সরকার যে ভাবে আইন প্রনালি তৈরি করেছেন তারপরও এই দেশের মেয়েরা নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এতে বোঝা যায় দেশের আইন সঠিক ভাবে প্রযোগ হচ্ছে কি না তার প্রশ্ন থেকেই যায়।

বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফলে আজকের নারীর উপর নেমে এসেছে সর্বগ্রাসী আক্রমন। তাই এসবের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, দ্রুত ধর্ষক শাকিলকে গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবী জানান বক্তারা মানববনন্ধন থেকে।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির জন্মের ৩মাস পর তার বাবা মোকছেদুল ইসলাম মারা যায়। ৫ মাস পর তার মা লাবণী বেগম অন্যখানে বিয়ে করে চলে যায়। ফলে এতিম শিশুটি তার দাদি পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগমের বাড়িতে থেকে প্রতিপালিত হচ্ছিল। দাদির নির্দেশনা অনুযায়ি গত রোববার সন্ধ্যায় তাদের চার্জ দেওয়া টর্চলাইট নিয়ে আসার জন্য প্রতিবেশী আইয়ুব খানের ঘরে যায় ছাত্রীটি।

এসময় ঘরে থাকা আইয়ুব খানের বখাটে ছেলে শাকিল মিয়া শিশুটিকে জাপটে ধরে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে চাকু দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে মর্মে হুমকি দেয়। শিশুটি বাড়িতে ফিরে সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদির জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করে। ওই রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলে শাকিল মিয়ার পরিবার হুমকি ধামকি দিয়ে তাদেরকে বিদায় করে দেয়। ঘটনার পর থেকেই শাকিল মিয়া পালাতক। শিশুটি বর্তমানে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পিবিএ/এস/আরআই

আরও পড়ুন...