চীনের বন্দীশিবিরে আটক ৩০ লাখ মুসলিম: পেন্টাগন

পিবিএ ডেস্ক: চীনের ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে’ আটক মুসলিমদের সংখ্যা এক বছরেরও কম সময়ে সম্ভবত তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, বর্তমানে বন্দীশিবিরগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ মুসলিম আটক রয়েছে।

শুক্রবার পেন্টাগনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য নিশ্চিত করেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, জিনজিয়াং-এ উইঘুরসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষকে গণহারে বন্দী করার কার্যক্রম বেইজিং ২০১৮ সালে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে দেশটির বৃহত্তম কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে মুসলিমদের আটকে রাখা হয়েছে।

চীনের বন্দীশিবিরে আটক ৩০ লাখ মুসলিম
চীনের বন্দীশিবিরে আটক ৩০ লাখ মুসলিম

২০১৮ সালে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, বেইজিং ৮ লাখ মুসলিমকে কারাবন্দী করে রেখেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, বেইজিং জিনজিয়াং-এ প্রায় ১,২০০ ‘মুসলিম গুলাগ’ তৈরি করছে। সোভিয়েত আমলে গুলাগে বিপুল সংখ্যক বন্দীকে জোর করে শ্রমিক হিসেবে খাটাতো কম্যুনিস্ট সরকার।

শুক্রবার মার্কিন কর্মকর্তা র‍্যান্ডাল শ্রিভার সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনে চলমান দমন-নিপীড়নের বিষয়ে আমরা দারুণ উদ্বিগ্ন। কম্যুনিস্ট পার্টি চীনের বিপুল সংখ্যক মুসলিমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দী রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছে।

তিনি আরো বলেন, এই বন্দী শিবিরের বিশালতা থেকে আমরা ধারণা করছি, সেখানে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু বন্দীদের সংখ্যা ৩০ লাখের কাছাকাছি হতে পারে। এক কোটি মানুষের মধ্যে ৩০ লাখ বন্দী বিশেষ উল্লেখযোগ্য একটা অংশ।

চীন সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে এসব বন্দীশালাকে কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করছে। দেশটির কম্যুনিস্ট সরকারের দাবী, ধর্মীয় চরমপন্থা, জাতিভিত্তিক বিভাজন, ও সহিংস সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে এসব কেন্দ্রে আটক ব্যক্তিদের পুনরায় শিক্ষিত করা হচ্ছে। আটকদের বেশিরভাগই মুসলিম, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের এমন অভিযোগও অস্বীকার করে আসছে চীন।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...