পিবিএ ডেস্কঃ রাজনীতির ময়দানে পা রাখার পর থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মিমি চক্রবর্তীর। গ্লাভসের পর পর এবার রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তিনি। নেটদুনিয়ায় রীতিমতো সমালোচনার শিকার হলেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী। ধর্মকে হাতিয়ার করে তিনি জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই দাবি নেটিজেনদের।
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই তড়িঘড়ি প্রার্থী ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় বিনা নোটিসেই মিমি জানতে পারেন যাদবপুর থেকে ভোটে লড়ছেন তিনি। তারপর আর এক মুহূর্তও দেরি করেননি। ওইদিন সন্ধা থেকেই কোমর বেঁধে লেগে পড়েন জনসংযোগের কাজে। রাজনীতিক অরূপ বিশ্বাসের কথা মতো প্রচার শুরু করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। ভোটের মাঝে রমজান মাস পড়ায় তা নিয়ে বিরক্ত তৃণমূল। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটপ্রচারে সুর চড়িয়েছেন মিমি। মুসলমান ভোটারদের কষ্টে শামিল হওয়ার জন্য আগেই জানিয়েছিলেন রোজা রাখবেন। কথা রাখলেন তারকা প্রার্থী। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাখছেন রোজাও। এই পোস্ট ঘিরেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, এভাবেই নাকি সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করছেন মিমি। ধর্মকে হাতিয়ার করেই একটি সম্প্রদায়ের ভোট কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে কেউ কেউ আবার মিমির পাশেও দাঁড়িয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে মিমি সৌজন্য দেখিয়েছেন বলেও দাবি অনেকের।
জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়া থেকে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় চলে আসেন মিমি। সেখান থেকে আচমকাই ছোটপর্দায় কাজ পান। বর্তমানে টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। কেরিয়ারের প্রথম ইনিংস যথেষ্ট সফল তিনি৷ দ্বিতীয় ইনিংসে রাজনীতির আঙিনায় এক্কেবারে আনকোরা মিমি। লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। তাঁর বিপরীতে বামদের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এই কেন্দ্রে পদ্ম শিবিরের যোদ্ধা অনুপম হাজরা। রাজনীতির ময়দানে এক্কেবারে আনকোরা নন বিজেপি প্রার্থী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লড়ে মিমি আদৌ সাংসদ হতে পারেন কিনা, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে। উত্তরের জন্য আগামী ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সকলকেই।
পিবিএ/এমআর