চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের লাইটের আলোয় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি

পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলায় ব্যাটারী চালিত অবৈধযান পাঁখিভ্যান-ইজিবাইকের হেডলাইটের সাদা আলোয় পথচারিদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে সড়কে ছোট বড় দুর্ঘটনা। চুয়াডাঙ্গাসহ ৪ উপজেলা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে শত শত অবৈধযান পাখিভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল করে থাকে।

সন্ধার পর এসব অবৈধযান চালকরা তাদের নিজেদের সুবিধার্থে এলইডি সাদা লাইট জালিয়ে সড়কে চলাচল করে। এতে বিপরিত দিক থেকে আসা সাধারন পথচারি ও মটরসাইকেল চালকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের যাত্রীসহ চালকের চোখে সরাসরি লাইটের আলোর ফোকাসের কারণে কিছুই দেখতে পাই না ।

ইজিবাইকের লাইটের আলো
ইজিবাইকের লাইটের আলো

এসময় তাদেরকে দাড়িয়ে অথবা ধীর গতিতে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। চুয়াডাঙ্গার শহরতলীর ট্রাক্টর চালক হাসান আলী জানান, পাঁখিভ্যানের সাদা আলোর গতি আমাদের ট্রাক্টারের চেয়ে বেশি। ট্রাক্টারের সামনে দিয়ে রাতে কোন পাখিভ্যান আসলে আমরা সামনের দিকে কিছুই দেখতে পাইনা। এসময় দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদেরকেই গাড়ির গতি কমিয়ে পাখিভ্যান পার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা মটরসাইকেল চালক আফজালুল হক বলেন, এই জাতীয় লাইটের আলো এতোই বেশি যে মটরসাইকেলের সামনে এই অবৈধযানের সাদা আলো পড়লে ১-২মিনিট আর কিছুই দেখা যায়না, ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, ডা.শামিম কবির বলেন, ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান-ইজিবাইক গুলোতে যে এলইডি সাদা লাইট ব্যবহার করে এটা চোখের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। এই আলোর ভিতরে যদি সামান্যতম নীল আলো থাকে তা হলে চোখের কোন ক্ষতি হবে না। এই সাদা আলো যদি দীর্ঘক্ষন চোখে লাগে তাহলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

দীর্ঘ দিন ধরে এমন আলো সরাসরি চোখে লাগতে থাকলে রেটিনার কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। আর একবার রেটিনা সেল খারাপ হতে শুরু করলে সেগুলিকে পুনরায় আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় না। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে শুরু করে। তাই এই বিষয়ে সর্ব সাধারণের সাবধান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সর্ব সাধারণের জন্য ক্ষতিকারক অবৈধযানে সাদা এলইডি লাইট পরিহারে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

পিবিএ/টিটি/আরআই

আরও পড়ুন...