পিবিএ ডেস্ক: গরমের সময় এমন খাবার বেশি খেতে হবে যা শরীরকে সব সময় ঠান্ডা রাখে। আর এ সময়কার বেশিরভাগ মৌসুমি ফল এবং সবজিই রসালো ও পানিবহুল। তাই এ সময় বিশেষ করে ইফতারের সময় ভাজাপোড়ার চেয়ে ফল ও সবজিকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। এরফলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। পাশাপাশি সবুজ কচি শসাও গুরুত্বপূর্ণ।
শসাকে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। সালাদ, ডিটক্স ওয়াটার, তারকারি, কিংবা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে রায়তা তৈরি করে যে ভাবে হোক খেতে পারেন।
শসার মধ্যে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, রাইবোফ্লাভিন, বি সিক্স, ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক প্রভৃতি ঠাসা থাকে। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতেও শসার জুড়ি নেই। শসা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও উপকারী ভূমিকা গ্রহণ করে।
এছাড়াও শসার মধ্যে থাকে ইরেপসিন। এই এনজাইমটি প্রোটিনের মধ্যে ভাঙ্গন ধরিয়ে আত্তীকরনে সাহায্য করে। শসার মধ্যে থাকা অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে।
শসার মধ্যে ৯৬ শতাংশই জল এটা কি জানতেন? শসার মধ্যে জল ও উপকারী উপাদান থাকে। এতটা জলের পরিমাণ থাকার জন্য কোলনের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো। কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যাতেও শসা খুবই ভালো কাজ করে। নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখতে এর জুড়ি নেই।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের নিত্যনৈমিত্তিক খাবারের মধ্যে থাকে শসা। এক বার শসা খেলে দীর্ঘক্ষন খিদে পায় না। ফলে ওজন কমাতেও সুবিধা হয়। ১০০ গ্রাম শসার মধ্যে মাত্র ১৫.৫৪ শতাংশ ক্যালোরি থাকে।
পিবিএ/এএইচ