সুন্দরবনে ৩ বছরে র‌্যাবের অভিযানে ৫৫৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

পিবিএ,বাগেরহাট: সুন্দরবনের অভ্যন্তরে জলদস্যুতা দমনে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ২০১৬ সালে সুন্দরবনের আতঙ্ক হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত মাস্টার বাহিনী সর্বপ্রথম র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পন করে। একই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরো অনেক দস্যু বাহিনী আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।

সুন্দরবনে ৩ বছরে র‌্যাবের অভিযানে ৫৫৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
সুন্দরবনে ৩ বছরে র‌্যাবের অভিযানে ৫৫৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সরকারের পক্ষ সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। দস্যুদের কর্মসংস্হানের ব্যবস্থা করেছে সরকার। তবে ৫-৬ জন মিলিয়ে দল গঠন করে এখনো কিছু কিছু দস্যুদল সুন্দরবনে সক্রিয় রয়েছে। যেমন গত ৬ মে সোমবার সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র‌্যাব-৬ এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ দস্যু নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- রানা বাহিনীর প্রধান রানা, উপ-প্রধান জুলহাস ও তাদের সহযোগী কামরুল।

ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ মে সোমবার ভোরে চাঁদপাই রেঞ্জের খোন্তা কোদালিয়া খালে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এ ঘটনায় র‌্যােেবর দুই সদস্য আহত হয়েছেন। জানা গেছে, মাঝিরা যেখানে মাছ ধরতে যায়, মৌয়ালরা যেখানে মধু সংগ্রহ করতে যায়, সেই স্থানগুলোই থাকে জলদস্যুদের প্রধান টার্গেট।

সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরার কালীগন্জ, ছোট কলাগাছিয়া,বড়কলাগাছিয়া, শ্যামনগর, খুলনার নলিয়ান, দাকোপ, মাতারবাড়ী, বাগেরহাটের কটকা, নন্দবালা,বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকাতে জলদস্যুদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। র‌্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে এক বছরেই জলদস্যুদের ২৪টি বাহিনীর ২১৯ সদস্য র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

এ ছাড়া ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৪টি বাহিনীর ১৫২ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৫৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩০ হাজার ১৪১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করা বাহিনীর মধ্যে রয়েছে, মাস্টার বাহিনী, জাহাঙ্গীর বাহিনী,মজনু বাহিনী, ইলিয়াস বাহিনী, সিদ্দিক, আলামিন, সাত্তার ও জালাল বাহিনী।

পিবিএ/এসএইচ/আরআই

আরও পড়ুন...