তাহিরপুরে নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে ২০টি পরিবার গৃহহীন

পিবিএ,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় কেন্দুয়া নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে ২০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পরেছে। ভারতীয় মেঘালয় পাহাড়ের ঢলের পানি প্রবল বেগে কেন্দুয়া নদী দিয়ে মাঠিয়ান হাওরে পানি প্রবেশ করায় সময় পানির প্রবল -স্রোতের টানে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ফলে গৃহহীন হয়ে পড়ছে ঐ এলাকার জনসাধরন।

নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে ২০টি পরিবার গৃহহীন
নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে ২০টি পরিবার গৃহহীন

স্থানীয় বাসিন্দা ওবাদুর রহমান ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,উপজেলার বড়দল দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের কাউকান্দি বাজারের পশ্চিমে অবস্থিত(মরমপুর)গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কেন্দুয়া নদীর ভাঙ্গনে বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন মরমপুর গ্রামের রশিদ মিয়া,সাব্বির মিয়া,সালে আহমদ,বাদশা মিয়া,আফতন আলী,দুলাল মিয়া,সামায়োন মিয়া,বিল্লাল মিয়া,আইবনুর,সাজু মিয়া,মাফিকুল ইসলাম,দিরুল মিয়া,তাজুদ আলী,মুসলিম মিয়া,রমজান আলী,মালেখা বেগম।

আরো জানা যায়,কেন্দুয়া নদী থেকে পানি মাঠিয়ান হাওরে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে বসত বাড়ি উচ্ছেদ হচ্ছে ফলে জন-জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের দেখার কেউ নেই। বসত বাড়ি হারায়ে সাজু মিয়া বলেন,আমি এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার একমাত্র মাথা গোজারঠাই কেন্দুয়া নদীর স্রোতের কবলে পড়ে বিলিন হয়ে গেছে। এখন আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব কি করব বুঝতে পারছিনা।

মরমপুর গ্রামের মালেখা বেগমসহ অনেকেই বলেন,আমরা সবাই ভোট দিয়ে এমপি ও চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলাম দুর্দিনে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের কোন রকম ভাবে খোঁজ নিতে আসেন নি। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। এই বিষয়ে বড়দল দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহার আলী বলেন,এই বিষয়ে আমার ও আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যা করা যায় তাই করব। আমি সব সময় আমার জনগনের পাশে আছি আর থাকব।

তাহিরপুর উপজেলা নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,আমি উপজেলা পরিষদে যোগদান করেছি। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

পিবিএ/জেএবি/আরআই

আরও পড়ুন...