পিবিএ,পাবনা: পাবনায় তীব্র তাপদাহে অস্থির সময় পার করছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। গরমের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না দিন মজুরেরা।
তাই এই গরমে হাসপাতালগুলোতে বেড়ে চলেছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এবারের গরমে আক্রান্ত বেশি শিশুরা।
পাবনার দুইশ পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কক্ষ ছাড়িয়ে বারান্দায় বিছানা পেতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে।
এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে শতাধিক রোগী। গরমের কারণে স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি রোগী গ্রতিদিন চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া জনিত কারণে প্রায় ৪শ’ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩২ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে প্রায় ৬শ’ শিশু ভর্তি ছিল। বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ৮৫ জন।
তবে হাসপাতালের অব্যবস্থায় সুচিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক রোগী অভিযোগ করেন। সে কারণে অনেক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন বলেও জানা যায়।
পাবনা ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের গরমের সর্বশেষ দেয়া তথ্যমতে বিগত কয়েকদিনে পাবনা- ঈশ্বরদীসহ জেলার বেশির ভাগ অঞ্চলে গড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে তাপমাত্রা অনুভব হচ্ছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। এই প্রচুন্ড তাপদাহের কারণে খুব প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। সূর্যে প্রচুন্ড উত্তাপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
পাবনা ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. নাজমুল হক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পাবনা জেলার উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুই দিন পাবনা জেলাতে ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রবাহিত হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা এ রকমই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. লামিয়া সুলতানা বলেন, প্রচুন্ড গরমের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্ট জনিত নানা সমস্যা নিয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।
তবে চিকিৎসক হিসেবে আমার পরামর্শ বাচ্চাদের ঘনঘন পানি খাওয়াতে হবে। গরমে ঘাম যাতে শিশুর গায়ে বসে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর যে সব শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খায় তাদের বুকের দুধ বেশি বেশি করে খাওয়াতে হবে।
বাইরের খোলা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশীয় ফল, ডাব, কলা, তরমুজ, আনারস, পেয়ারা, কাচা আম,বাংগি,খিরা,বেল খাওয়া যেতে পারে।
পিবিএ/এমআর/হক
