পিবিএ,সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইভটিজার তারেক (২০) পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে কার্যত কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা পুলিশ।
উল্টো ইভটিজার তারেককে থানা হাজতে পুলিশ জামাই আদর করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পরিবার। এছাড়াও ইভটিজারকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান চেস্টা-তদবির অব্যাহত রেখেছেন বলেও ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান।
শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যা পৌনে ছয়’টার দিকে সরাইল থানায় গিয়ে দেখা যায়, কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করার দায়ে পুলিশের হাতে আটক তারেক থানা হাজতে রয়েছে। শুক্রবার (১০মে) সন্ধ্যায় সদরের নাথপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। তারেক নাথপাড়ার বাসিন্দা মোতাহার মিয়ার ছেলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল হক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আটক যুবক তারেককে শনিবার সকালেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করার কথা। কিন্ত কেন এটি করা হয়নি, তা খোঁজখবর নিয়ে জানাতে হবে। আটক তারেকের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরাইল সরকারি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী ও সদরের নাথপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই নারী শিক্ষার্থীকে একই এলাকার তারেক, মনির ও শান্ত নামে এই তিন যুবক প্রায়ই উত্যক্ত করতো। সম্প্রতি তাদের উত্যক্তের মাত্রা বেড়ে গেলে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এতে এই তিন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে ভূক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মাতা আউলিয়া বেগম গত ৫ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এসময় ভূক্তভোগী কলেজছাত্রী সহ সরাইল সরকারি কলেজের বেশকয়েকজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী কর্মকর্তা এ অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরাইল থানার ওসিকে লিখেন।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে ভূক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মাতা আউলিয়া বেগম পিবিএকে বলেন, বখাটে তারেককে পুলিশ আটক করেছে ২৪ ঘন্টা হয়ে গেছে। এখনো পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। থানা হাজতে পুলিশ তাকে জামাই আদর করছে। তাকে আটকের বিষয়টি ইউএনও স্যারকেও জানানো হয়নি। বখাটে তারেককে ছাড়িয়ে নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান তদবির চালাচ্ছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা পিবিএকে জানান, কলেজছাত্রীকে উত্যক্তকারি যুবক তারেকের আটকের বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি। এখন যেহেতু জেনেছি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
পিবিএ/এআইএস/আরআই