পিবিএ ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের মতামত না নিয়ে ঢাবিতে কেন কেন অধিভুক্ত করা হয়েছে সাত কলেজকে? এমন প্রশ্ন রাখছেন আজ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাবিঅধিভুক্ত ৭ কলেজকে নিয়ে সংকট কাটছে না। এ নিয়ে দুই পক্ষের আন্দোলন ও বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ নেই। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন হয়ে পড়েছে পরিকল্পনাহীন ও গন্তব্যহীন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরপরই রাজধানীর সরকারি ৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিতে উঠে পড়ে লাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভিসি আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক দায়িত্বে থাকাকালীন সরকারি এ ৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
জাতীয় সংসদে একজন এমপি এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দাবি করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি তিনি। সিদ্দিকুরের চোখ নষ্ট হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনার পরেও এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে সমাধানের কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। একজন আরেফিন সিদ্দিক চলে গেলেন আরো একজন দায়িত্ব পেলেন। কিন্তু এর ফাঁকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কি পেলেন?
লেখা-পড়ার গুণগত মান নিশ্চিত, সেশনজট কমানোসহ যে সব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকারি ৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং এ নিয়ে অসংখ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। যা দেখেছে দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণ। নিজেদের অধীনে নিয়ে এ ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়। যে কারণ দেখিয়ে নিয়েছে তাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থই হয়েছে তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কি সম্ভব এ সমস্যার সমাধানের? যদি তা নাই পারে তাহলে জেনেও কেন অধিভুক্ত করা হয়েছে এমন প্রশ্ন ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থীদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি ৭ কলেজের কোন্দলরত শিক্ষার্থীদের কি দোষ? তাদের কেন চোখ হারাতে হচ্ছে, লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে? এর জবাব দেয়ার মতো কেউ কি নেই? কাউকেই তো এর সমাধানে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি, যাচ্ছে ও না। এগিয়েই যেহেতু আসবেন না তাহলে কেন এতগুলো শিক্ষার্থীর পড়াশুনা নিয়ে নাটক শুরু করেছেন আপনারা। আপনাদের কোন্দলের শিকার কেন হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা- এমন প্রশ্নও করছে শিক্ষার্থীরা।
অধিভুক্ত হওয়ার আগে এ ৭ কলেজের যেসব পরীক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছিল তার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশও করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি একাডেমিক কার্যক্রমও স্থগিত হয়ে পড়েছে, দেখা দিয়েছে দীর্ঘ সেশনজট। ঠিক সময়ে ফল প্রকাশ না হওয়ায় চাকরির আবেদন করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। তাই বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলনে নামে। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন তাদের এ ক্ষতি পোষাবে কে?
২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
শিক্ষার্থীরা অীভযোগ করছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবহেলা ও অনীহার কারণেই আমরা আজ ভুক্তোভোগী। কিন্তু আমাদের কী দোষ? আমরা কি চেয়েছিলাম আমাদের অধিভুক্ত করা হোক? এখন কেন এজন্য আমাদের ভুক্তোভোগী হতে হবে? এই দায় সম্পূর্ণভাবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারি হল। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী সব সরকারি কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার কথা বলেছিলেন। তার সুত্র ধরেই অনেক বিলম্বে হলেও ২০১৭ সালে ঢাবির অধীনে এই সাতটি কলেজকে দেয়া হয়। আমরা ভালোভাবেই কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে এই কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছে এ কথা মানতে নারাজ তিনি।
তিনি বলেন, চতুর্থ বর্ষের রেজাল্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি রাখার কথা ছিল সেটি তারা দিতে বিলম্ব করছে বলেই আমরা রেজাল্ট দিতে পাররিনি। ঢাবিতে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সদ ইচ্ছা থাকলেই এখন যে সংকট চলছে তা সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. হারুণ অর রশিদ বলেছেন, আমরা শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ ব্যাপারে সহযোগীতা করছি। এখন তারা যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালাতে না পারে তাহলে এটা তাদের ব্যর্থতা। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা এই কলেজগুলোকে দিতে চাইনি। আমাদের কাছে থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা যখন নিয়েছিলো বলেছে তারা চালাতে পারবে। এখন ছাত্রদের শিক্ষা বর্ষ নষ্ট করছে। এর দায়ভার তাদেরই নিতে হবে।
তিতুমীর কলেজের প্রফেসর মুহাম্মদ ইনামুল হক খান বলেন, অধিভুক্ত সাত কলেজকে নিয়ে যে সংকট চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। আমি এর দ্রুত সমাধান চাই। আমাদের ছাত্র ছিদ্দিক দুটো চোখ হারাল। আর কত ছিদ্দিককে হতে হবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য।
তিনি বলেন, অধিভুক্ত করার উদ্যোগটা ভালো ছিল। কিন্তু যে ভাবে কার্যক্রম করার দরকার তা করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে জনবল দরকার তা তাদের নেই। তাছাড়া সাত কলেজের ২ লাখ শিক্ষার্থী নিয়ে ভাবার মতো জনবলও তাদের নেই। সাত কলেজের জন্য ভিন্ন কর্মকাঠামো তৈরি করতে পারলে এর দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।
ঢাকা কলেজের শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস অধিভুক্ত সাত কলেজের সংকট সম্পর্কে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া আবেগের বশীভূত হয়ে এই কলেজগুলোকে নিয়েছে। তারা এভাবে এ ৭ কলেজকে নিতে পারে না। এই সংকটের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উভয়ই দায়ী।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনার অভাব এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগীতার অভাব। ঢাবি যেভাবে সাত কলেজ নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে তাতে সাত কলেজের শিক্ষকরাও অসন্তুষ্ঠ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক এখনো চায়না এই কলেজ গুলো তাদের অধিভুক্ত থাকুক।
বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ ইমাম হোসাইন বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে নিয়েছে। তাদের যে জনবল দরকার তা তাদেরই নেই। কিন্তু সাত কলেজের ২ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল কম থাকার কারণেই সংকট দেখা দিয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অধিভুক্ত ৭ কলেজের সংকট খুব দ্রুত সমাধান হয়ে আসবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেলে একটু সময় লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে দ্রুত সমাধানের কাজ চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এমফিল গবেষক, সাইফুল্লাহ সাদেক বলেন, পৃথিবীর সব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ থাকে। যেমন হাভার্ড, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক কলেজ পরিচালতি হয়। সেদিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ১০৪টি। এর বাইরে সম্প্রতি রাজধানীর ৭টি বড় কলেজ অর্ন্তভুক্ত করা হয়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার হতো তখনই যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে কলেজগুলোর ভার নেয়ার মতো যোগ্যতা থাকতো। আমার কথা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সব কাজ করার পর যদি অন্য কলেজ পরিচালনার মতো সুযোগ সুবিধা থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। এ বিষয়ে কলেজ অধিভুক্ত করার আগে পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। ফলে তা সম্ভব হয়নি বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রীয় এ সিদ্ধান্তে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত এ পরিস্থিতির সমাধান চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহবুব আলম বলেন, ছাত্রছাত্রীদের জীবন থেকে যে বছরগুলো শুধু শুধু চলে যাচ্ছে তা শোধরাতে পারবে কি ঢাবি কর্তৃপক্ষ? শিক্ষামন্ত্রীর উচিৎ এ দিকে নজর দেয়া, লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা জীবন থেকে এভাবে বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে, কোনো চাকরির জন্য আবেদন ও করতে পারছে না, এটা দুঃখজনক। এভাবে রাষ্ট্রের একটা অঙ্গকে বিকলাঙ্গ করে রাষ্ট্র স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।
ঢাকা কলেজের ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, কতদিন হয়ে গেলো ঢাকায় বসে বসে খাচ্ছি। আমরা মাত্র কদিন আগে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ করলাম। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সেশনের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে। এসব কথা শুনলে বাড়ি থেকে আমার টাকা পয়সা পাঠানো বন্ধ করে দেবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন।
বাঙলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জিল্লুর রহমান বলেন, সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পূর্ণ চিন্তা ও পরিকল্পনার বাইরে এই সাত কলেজকে অধিভুক্ত করেছে। যার কারণে আজ লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন পরিকল্পনাহীন ও গন্তব্যহীন। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যে দেশে পরীক্ষা নেয়ার জন্য আন্দোলন করতে হয় এবং পরীক্ষা নেয়ার পর রেজাল্টের জন্য আন্দোলন করতে হয়। শিক্ষার নামে কারো ভবিষৎ নষ্ট করার অধিকার আপনাদের দেয়া হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে আসার পর তিন দফা আন্দোলনে নামতে হয় অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের। গত ২০ জুলাই ফল প্রকাশ ও পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলে দৃষ্টি হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান। এই ঘটনায় এক হাজার ২০০ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলাও করে পুলিশ।
দ্বিতীয় দফা গত অক্টোবরে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করে। ওই সময় যথাসময়ে ফল প্রকাশে প্রসাশনের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। নভেম্বরের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হয়।
এর দুই মাস পর গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ফল প্রকাশ ও তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরুর দাবিতে আবারো নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। ১০ ফেব্রুয়ারির শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়।
তার মধ্যে আবার গত ১১ জানুয়ারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে তারা।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য আসে পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে হঠাৎ করে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে অধিভুক্ত করার ফলে অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছর এই কলেজগুলোর অধিভুক্তির সময় উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক। এখন উপাচার্যের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। কিন্তু এ ব্যাপারে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুণ অর রশীদের মধ্যে মনস্তাত্তিক দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। রাজধানীর সরকারি ৭ কলেজ অধিভুক্ত হওয়ার পর তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে এসেছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩১ আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই রাজধানীর সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেয়া হয়।
পিবিএ/জেআই