পিবিএ,মাগুরা: মাগুরায় বাঙ্গী জাতীয় ফল নালিম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। ধান পাট বা অন্য ফসল আবাদের চেয়ে নালিম চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে ঝুকছেন। অল্প পুজি বিনিয়োগ করে অধিক ফসল এবং অর্থ ঘরে তুলতে পেরে কৃষকরা দারুন খুশি। বিশেষ করে রমজান মাসে রোজাদারদের কাছে এ ফলের কদর রয়েছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর, হাজরাপুর, মির্জাপুর, মিঠাপুর, নড়িহাটি, ডবলেশনগরসহ বিভিন্ন গ্রামে ১১৪ হেক্টর জমিতে নালিমের চাষ হয়েছে। বাঙ্গি জাতীয় এ ফল নালিমের বিঘা প্রতি ফলন হয় ৮-১০ হাজার পিস। নালিম চাষে সার কীটনাশক তেমন লাগেনা বললেই চলে।
মাগুরা সদর উপজেলার নড়িহাটি গ্রামের কৃষক সাকেন বিশ্বাস এ বছর ১৬ বিঘা জমিতে নালিম চাষ করেছেন। ১০ বিঘা জমি ৪ লাখ টাকায় লিজ নিয়েছেন তিনি। বাকি ৬ বিঘা জমি তার নিজের। নালিম ফল বিশেষ করে মাঘ মাসে মাটিতে বীজ লাগাতে হয়। প্রায় ৩ মাসের জীবনকাল থাকায় খুব অল্প সময়ে কৃষকরা এটি বিক্রির মাধ্যমে নগদ অর্থ ঘরে তুলতে পারেন।
সরেজমিন সাকেন বিশ্বাসের নালিম ক্ষেতে গিয়ে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন,‘আমি প্রতিবছরই নালিম চাষ করে থাকি। অন্য ফসলের চেয়ে এ চাষে লাভ যেমন বেশি তেমনি খরচও কম। রমজান মাসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয় নালিম। ব্যাপারীরা জমি থেকেই নালিম ফল পাইকারী দরে কিনে নিয়ে যান। প্রতি ট্রাক নালিম ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আমার ১৬ বিঘা জমি থেকে ৮ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।’
একই উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের অপর নালিম চাষি শেখ দিদার জানান, এবছর তিনি ১০ বিঘা জমিতে নালিম চাষ করেছেন। ভালো দাম পাওয়ায় যা তিনি ব্যাপারীদের কাছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, নালিম খুব লাভজনক একটি চাষ। এটির মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ ঘরে তোলা সম্ভব। যে কারণে কৃষকরা নালিম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
মির্জাপুর গ্রামের সহিদ মুন্সি দেড় বিঘা জমিতে নালিম চাষ করেছেন। যাবতীয় খরচ বাদে এ মৌসুমে তিনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার নালিম বিক্রির আশা করছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি পিস নালিম ৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পিবিএ/এমআর/আরআই