জেনে নিন, যে ১৫টি কারণে ব্রণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না !

 

পিবিএ ডেস্কঃ ব্রণের সমস্যায় আমাদের সবাইকেই কমবেশি ভুগতে হয়। কখনো কখনো ব্রণের সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়, কোনোভাবেই একে প্রতিরোধ করা যায় না। দেখে নিন কি কি কারণে ব্রণ হয়।

বংশগতঃ এটা এমন একটা ব্যাপার যাতে আপনার কোনোই হাত নেই। আপনার পিতামাতার
যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনার এবং আপনার ভাইবোনেরও ব্রণের
ঝক্কি পোহাতে হতে পারে।

পিরিয়ডের সময়ঃ নারীদের পিরিয়ডের কয়েক দিন আগে ব্রণের সমস্যা হঠাৎ
করেই বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হলো এ সময়ে অ্যান্ড্রোজেন নামক কিছু
হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে ত্বকের তৈলগ্রন্থি থেকে বেশি তেল বের
হতে থাকে। এর ফলে অনেক বেশি ব্রণ হয়।

আবহাওয়াঃ আবহাওয়া যখন আমাদের শরীর সহ্য করতে পারে না তখন ব্রণ দেখা দিতে
পারে। বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময়টায় এটা হয়ে থাকে। অন্যরকম
আবহাওয়ার এলাকায় ছুটি কাটাতে গেলেও এই সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।

ওষুধের প্রভাবঃ অনেক সময়ে বিশেষ কোনো ওষুধের প্রভাবে ব্রণ হয়।
এক্ষেত্রে ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাঝে ব্রণ
হয় কিনা। দরকার হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ পরিবর্তন
করে নিন।

খুব বেশী চিন্তিতঃ খুব দুশ্চিন্তা থেকে ব্রণ হতে পারে। বড় কোনো ঘটনার
আগে আপনার ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

খাবারঃ দুগ্ধজাত খাবার, ক্যাফেইন, চিনি বা বাদাম ব্রণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এসব খাবার থেকে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এর পরিবর্তে বেশি বেশি শাকসবজি এবং গ্রিন টি পান, করুন ফলে আপনার ত্বক সুস্থ হয়ে উঠবে।

রোমকূপ বন্ধ না হওয়াঃ আমরা যেসব কসমেটিকস ব্যবহার করি তাদের মধ্যে থাকতে পারে এমন উপাদান যা ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ফলে তেল এবং ময়লা জমে তৈরি করে ব্রণ। যারা নিয়মিত ব্রণের শিকার হন তাদের উচিৎ এমন মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার না করা।

মেকআপ পরিস্কার না করাঃ দিনের শেষে অনেকেই ক্লান্তিতে মেকআপ পরিস্কার না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে ত্বকে জমে যায় তৈল এবং ময়লা আর ব্রণ দেখা দেয়।

মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার না রাখাঃ মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রাখা জরুরী। পরিষ্কার না করলে ব্রাশে জমে যায় ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া ত্বকের ক্ষতি করে।

ঘুমের সমস্যাঃ ঘুমের অনিয়ম হওয়া থেকে শরীরের কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে
যায়। এর ফলে দেখা দেয় ব্রণ।

চুলের কসমেটিকসঃ অনেক সময়ে দেখা যায় হেয়ারজেল, সিরাম এমনকি
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার হতে পারে ব্রণের কারণ। এইসব সামগ্রী ব্যবহারের পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

ডিটারজেন্ট পাউডারঃ ডিটারজেন্টের কিছু উপাদানের প্রতি অ্যালার্জি থাকে অনেকের।
এসব ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ব্রণ হিসেবে। সুগন্ধি-বিহীন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

বেশি মুখ ধোয়ার ফলেঃ ঘন ঘন অথবা খুব কম মুখ ধোয়ার ফলে ব্রণ হতে পারে। এর জন্য দিনে দুই-থেকে চারবার মুখ ধোয়ে নিন।

টুথপেস্টঃ ভাবেন টুথপেস্ট ব্যবহারে ব্রণ কমে যায়। কিন্তু টুথপেস্টই হয়ে উঠতে পারে ব্রণের মূল কারণ। ঠোঁটের চারপাশে ব্রণ হলে বুঝবেন আপনার টুথপেস্ট দায়ী।

অপরিস্কার বিছানাঃ বিছানার চাদর এবং বালিশের কভারে জমে যায় ধুলোবালি এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে ব্রণ হয়। যাদের ব্রণ আছে তারা প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করুন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...