পিবিএ, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট (দঃ) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে ফুটপাতের মার্কেট। এ মাকের্টে প্রায় ২০টিরও বেশি অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চলছে দীর্ঘদিন যাবত। ফলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
একদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের প্রবেশপথটি বন্ধ থাকায় গর্ভবতী মায়েদের গাড়ি বহরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌছানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে শব্দ দূষণ ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশ পাশে ময়লা আর্বজনার পড়ে থাকায় দূর্গন্ধ ও শব্দ দূষণের কারণে সেবা নিতে আসা রোগিরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা গ্রহণে অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগিদের বাড়তি চাপ বাড়ছে।
জানাযায়, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের একমাত্র স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির এমন বেহাল দশার কারণে এলাকাবাসীর ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ব্যবসায়ীরা পাকা খুটি, কাঠ ও বাশঁ দিয়ে দোকান ঘর তৈরী করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। কেউ কেউ দোকান ঘর তৈরী করে বাড়া দিয়ে অর্থ উর্পাজন করছেন। জানাযায়, এদের মধ্যে সিরাজপুর বাগগাওঁ গ্রামের আলী আজগর, শহীদ মিয়া, শক্তিয়ারখলা গ্রামের আলা উদ্দিন, উলাস নগর গ্রামের শফিক নুর, বদরুল, উমরপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্যরা খাবার সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রকারের দোকান ঘর খুলেছেন।
এছাড়া দোকান ঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়ে অর্থ উর্পাজন করছেন সিরাজপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান, বাচ্ছু মিয়া ও নজরুল ইসলাম। এলাকার সচেতন মহলের দাবি এসব অবৈধ স্থাপনা দিন দিন বাড়ছে। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। অন্যেিদক একসময় এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পুরো জায়গায় স্থায়ীভাবে অবৈধ স্থাপনা তৈরী করতে পারে।
বাগগাঁও গ্রামের নুরে আলম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে অবৈধ স্থাপনাগুলো থাকায় অনেক সময় রোগিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এবিষয়ে, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, বাদাঘাট দক্ষিন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পান কল্যাণ কেন্দ্রের সামনের অবৈধ স্থাপনাগুলো খুব শীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে।
পিবিএ/জেএইচআর/আরআই