পিবিএ ডেস্কঃ গাজর শরীর বা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে জানেন কি এই গরমে ত্বকের সম্পূর্ণ পরিচর্যা করতে গাজর অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ত্বক শুষ্ক হোক বা তৈলাক্ত, ত্বকের যত্ন নিতে গাজর অব্যর্থ। ত্বকের অকাল বার্ধক্য ঠেকাতেও গাজর অত্যন্ত উপকারী। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বকের পরিচর্যায় গাজরের কয়েকটি আশ্চর্য ব্যবহার…
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতেঃ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে গাজর অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। একটা ছোট মাপের গাজর ভাল করে বেটে, পেস্ট করে তার সঙ্গে ১ চামচ মধু আর ২ চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণ মুখে মেখে মিনিট পনেরো রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ বার এই মিশ্রণ মুখে মাখতে পারলে ফল পাবেন হাতে নাতে।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যায়ঃ শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় গাজরের রস খুবই উপকারী! গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা ত্বকের শুষ্ক ভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক ভাবে তার আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায়ঃ তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাতেও গাজরের রস অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ১ কাপ গাজরের রসের সঙ্গে ১ চামচ টক দই, ২ চামচ ময়দা আর ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণ ঘাড়, মুখ, গলার ত্বকে মেখে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিয়ে উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ বার এই মিশ্রণ মুখে মাখতে পারলে ত্বকের তেলতেলে ভাব অনেকটাই কেটে যাবে।
রুক্ষ ত্বকের সমস্যায়ঃ থুতনি, গালে, কপালে ডেড সেল বেড়ে গিয়েছে? রোদে পুড়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে গিয়েছে? ১ কাপ গাজরের রসের সঙ্গে ১ চামচ টক দই আর একটা ডিম ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ মুখে মেখে ২০-২৫ মিনিট রেখে উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ বার এই মিশ্রণ মুখে মাখতে পারলে ত্বকের ডেড সেলগুলি সহজেই নির্মূল হবে, ত্বক হয়ে উঠবে সতেজ আর উজ্জ্বল।
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিঃ সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে আমাদের ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যেতে পারে। ত্বককে অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাতে আর ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে বাঁচাতে গাজরের রস অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। তীব্র গরমে ১ কাপ গোলাপজলের সঙ্গে ১ কাপ গাজরের রস মিশিয়ে মুখে, হাতে, গলায় মাখুন। এ ছাড়াও গাজরের রসের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাখতে পারলে ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করা যেতে পারে। ফলে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত।
পিবিএ/এমআর