সহপাঠির কলমের আঘাতে শামীমের চোখ প্রায় অন্ধ

পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাঙডাঙ্গা হাইস্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মো.শামীম (১৪) কে সহপাঠি শ্রী মিঠু চন্দ্র তার কলম দিয়ে বাম চোখে আঘাত করলে গভীর ভাবে রক্ত জমা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ শে মে স্কুল চলাকালিন সকাল ১১টার সময় শ্রেণী কক্ষের ভিতরে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সহপাঠির কলমের আঘাতে শামীমের চোখ প্রায় অন্ধ
মো.শামীম (১৪)

আহত শামীমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর এ্যাডডান্স আই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য পাঠিয়ে দেন। শামীমের বাবা মন্টু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, স্কুল কতৃপক্ষের উদাসিনতা দ্বায়িত্বে অবহেলা করে আমার ছেলেকেটাকে অন্ধ করার পায়তারা করেছেন।

স্কুলের সবাইকে জানিয়েছি কিন্তু আমার কথা কেউ শোনেনি। শিমুলবাড়ী টেপরির বাজারের রাস্তার মোড়ে পানের দোকান করে কোন রকমে ছেলের পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি, তার উপর আল্লাহ আমার বিপদ দিলো। ধারদেনা করে এখন পর্যন্ত চিকিৎসায় প্রায় ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন দুইটি অপারেশন হয়েছে আরো একটি অপারেশনের জন্য আরো টাকা লাগবে। নইলে চোখের আলো ফিরে পাবেনা।

শামীমের বাবা কান্নাজড়িত কন্ঠে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি গরিব বলে স্কুল কতৃপক্ষ এমন ব্যবহার করছে। শিক্ষক যদি মানুষ গড়ার কারিগড় হয় তাহলে আমার ছেলের প্রতি তাদের দয়া মায়া নেই কেন। আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর ভাইকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানাই তিনি বলেন আমি এখন ব্যস্ত মুরগীকে খাদ্য দিচ্ছি পরে কথা হবে। সেই থেকে তিনি আমার বাচ্চাকে দেখতেও আসেননি। ছেলেটা আমার একটা চোখ দিয়ে দেখতে পারে। বাম চোখ দিয়ে দেখতে পায়না।

এ ব্যাপারে নাওডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকায় তাকে চিকিৎসা বাবদ সাহায্য করতে পারিনি। তবে শামীমের নানির হাতে আমি তিন হাজার ২শত টাকা দিয়েছি স্কুল খুললে সবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পৌছে দিবো।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মাছুমা আরেফিন জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/এমআইবি/আরআই

আরও পড়ুন...