পিবিএ,নওগাঁ: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেলেছেন, এবার ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসনকে কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে করে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা যায়।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে ৫টায় নওগাঁ সদর উপজেলা স্থানীয় খাদ্য সরবরাহ গুদামে (এলএসডি) বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৬ টাকা বেধে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা ধানের প্রকৃত মূল্য পান সেই জন্য আজ থেকে ২০ দিন আগে জেলায় জেলায় সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের বরাদ্দ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষকেরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পান সে জন্য মৌসুমের শুরুতেই ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এবার ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব বরদাস্ত করা হবে না। প্রকৃত কৃষকেরা যাতে ধান দিতে পারে সে জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
ধান ক্রয় প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সাংবাদিকরা ধান ক্রয়ের তালিকা নিতে পারবেন। ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে তা তুলে ধরবেন। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধান ক্রয়ের বরাদ্দ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দুই-এক মেট্রিক টন ধান বেশি কিনলেই যে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবেন- তা নিশ্চিত করা যাবে না। আর বর্তমানে ধান সংরক্ষণের জন্য সরকারি গুদামে পযাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তবে কৃষকেরা যেন আগামীতে ধানের ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে সারাদেেশ ১০ লাখ মেট্রিক টন ধান সংরক্ষণ করা যায় এরকম আধুনিক প্যাডি সাইলো (ধান সংগ্রহ গুদাম) নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিদেশে চাল রপ্তানীর করা যায় কিনা- এরকম চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে সরকারের।
নওগাঁ সদর খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলার পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পিবিএ/বিএআর/আরআই