সড়ক নয়, যেন ধূলোর খনি

পিবিএ,খুলনা: পিচ উঠে খোয়া বেরিয়ে পড়েছে অনেক আগেই। সেই খোয়া যান-বাহনের চাপে গুড়ো হয়ে এখন ধূলোয় পরিনত হয়েছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই সড়কের ধুলোয় ভোগান্তি পোহাচ্ছে এর আশে পাশে বসবাসরত কয়েক শ’ পরিবার ও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থিরা। বৃষ্টি হলেই একটু স্বস্তি ফেরে তাদের। তবে যান বাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখন।

এমন অবস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন খুলনার কয়রা উপজেলা সদর থেকে কাশিরহাট অভিমুখী ৭ কিলোমিটার সড়কের। বর্তমানে সড়কটি জনচলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনেও এ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়ক নয়, যেন ধূলোর খনি
সড়ক নয়, যেন ধূলোর খনি

সরেজমিন দেখা গেছে, কয়রা উপজেলা সদরের তিন রাস্তার মোড় থেকে কাশিরহাট পর্যন্ত এ সড়কটির কোথাও ভাল নেই। পুরো সড়কের পিস উঠে খোয়া বেরিয়ে গেছে। সেগুলো যান-বাহনের চাপে গুড়ো হয়ে লাল ধূলোয় পরিনত হয়েছে। সড়কটি দিয়ে ট্রাক অথবা পিকআপ চলাচলের সময় আশ পাশের এলাকা ধূলোয় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, নছিমন, মোটরসাইকেল ও ভ্যানসহ আড়াই হাজারের মত যানবাহন যাতায়াত করে। ফলে সড়কের আশ পাশের বাড়ি ও স্থাপনাগুলো ধুলোর আস্তারনে ঢেকে থাকে।

দেখা গেছে, সড়কের সাত কিলোমিটারের মধ্যে একটি ডিগ্রি কলেজ, দুইটি দাখিল মাদরাসা, একটি বালিকা বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থিরা গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সড়কের ধূলোয় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।

কপোতাক্ষ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অদ্রীস কুমার মন্ডল বলেন, ‘একদিকে বেহাল সড়কটির কারণে দুরের ছাত্র ছাত্রীরা সময়মত কলেজে পৌছাতে পারছে না। অন্যদিকে ধুলোর কারনে শ্রেণি কক্ষসহ সকল কক্ষের দরোজা জানালা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে বদ্ধ কক্ষে দম বন্ধ হওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।’

বেদকাশি কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মাজেদ বলেন, বাতাসে উড়ে আসা ধূলোর কারণে স্কুলে ছেলে মেয়েরা টিকতে পারেনা। আবার বৃষ্টি হলে ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে সময়মতো তারা স্কুলে পৌঁছাতে পারছে না। তিনি জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম শফিকুল ইসলাম পিবিএকে বলেন, উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার লোকের নিয়মিত যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়ক এটি। এছাড়া পাশ্ববর্তি সাতক্ষিরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের বহু লোক এ সড়কের উপর নির্ভরসীল।

তিনি জানান, গত বছর উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করে রেজুলেশন আকারে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। তার পরও কাজ করতে দেরি হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।

এ ব্যাপারে সওজ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাস পিবিএকে বলেন, কয়রা-কাশিরহাট সড়কটি মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এ মুহুর্তে করণীয় কিছু নেই।

পিবিএ/এইচআর/আরআই

আরও পড়ুন...