জাতিকে ধ্বংস করতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসই যথেষ্ট: ড. মঈন

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. আব্দুল মঈন খান

পিবিএ,ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সে জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়াই যথেষ্ট। আজ যদি কেউ বলে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও নকল দিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সরকার দেশে এ কাজটিই করছে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে কি?

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

মঈন খান বলেন, একটি পুরনো কথা আছে, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’। এ কথাটি আজও সত্য। বলা বাহুল্য, অনেকে মনে করেন, ইউরোপ-আমেরিকা-চীন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি হওয়ার পেছনে আছে তাদের সম্পদ ও সমরাস্ত্র। কথাটি সঠিক নয়। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান আমেরিকা, ইউরোপ ও চীনে। কাজেই একটি জাতির উন্নতির সোপান যে একমাত্র শিক্ষা, সেকথা অস্বীকার করার উপায় নেই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন পরিচালিত র‌্যাংকিং ব্যবস্থায় এশিয়ার ৪১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিতে পারেনি। এ র‌্যাংকিংয়ের জরিপ করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠদান, গবেষণা, জ্ঞান আদান-প্রদান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি- এ চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এসেছে। দ্বিতীয়-তৃতীয় অবস্থানে আছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিংগাপুর ও হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির নাম। সার্বিকভাবে চীনের ৭২টি, ভারতের ৪৯টি, তাইওয়ানের ৩২টি, পাকিস্তানের ৯টি ও হংকংয়ের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আছে। এমনকি নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে এ র‌্যাংকিংয়ের তালিকায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই সেখানে।

মঈন খান বলেন, যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একসময় আমরা গর্ব করতাম, যে বিশ্ববিদ্যালয়কে সারা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার দর্পণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তার নাম এশিয়ার ৪১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও নেই। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে হাজারের মধ্যেও কেন নেই- সেটা আজ জাতির কাছে বড় প্রশ্ন।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...