ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ

পিবিএ, জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মারুফ সিকদার।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
রবিবার দুপুরে হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ২২৫ নম্বর কক্ষ থেকে একটি ল্যাপটপ চুরি হয়। এরপর কয়েকজন ছাত্র মিলে ওই ব্লকের সবগুলো কক্ষে খোঁজ করতে শুরু করলে মারুফ সিকদার অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন। এতে শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে তারা মারুফ সিকদারের কক্ষে খোঁজ করেন। পরে তার কক্ষের জানালার কার্নিশ থেকে ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর ওইদিন রাতে হলে বৈঠক করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, এর আগেও বিভিন্ন সময় হলে ৪টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ল্যাপটপের চুরির দায়ও মারুফ সিকদারকে দেওয়া হয়। তাকে এই চারটি ল্যাপটপের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। পরে তার ব্যবহৃত মোটরবাইক ও কাগজপত্র রেখে দেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ক্ষতিপূরণের টাকা দিলে মারুফকে তার মোটরবাইক ও কাগজপত্র ফেরত দেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মারুফ সিকদার সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, বিষয়টিতে আমাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো চেষ্টা করা হয়েছে। যেহেতু আমি রাজনীতি করি। আমি ঐ সময় আমার রুমমেট কেউই রুমে ছিলাম না। আমি রুমে আসার পরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার যারা প্রতিপক্ষ ছিল (আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না) তারা এটা করেছে।
এ প্রসঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মারুফ বলেন, ল্যাপটপ এ পর্যন্ত পাঁচটা চুরি হইছে হল থেকে। একটা পাওয়া গেছে বাকী চারটা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জড়িতও কাউকে পাওয়া যায়নি। উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। যার চুরি হয়েছে সেও আমার অনুসারী, আমার রাজনীতি করে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গ্রুপ। তিনি আরো বলেন, মারুফ সিকদারকে হল থেকে বের করে দেওয়ার মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ হেল কাফী বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে হলের ছাত্ররা কোনো শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিতে পারেন না। হল থেকে কোনো ছাত্রকে বের করে দিতে হলে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী বা হলের রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সে এখতিয়ার নেই।
পিবিএ/এসআই/জেডআই

আরও পড়ুন...