যশোরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

পিবিএ,যশোর: যশোর জেলার ১ হাজার ২শত ৮৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১শত৪৭টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়ের নির্দেশমতে চিহ্নত করে মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে।এসকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান।এসব স্কুলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে।শিগগরই এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন সংশিষ্টরা।এদিকে এসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের তালিকা প্রস্তুত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি যশোর শিক্ষা অধিদপ্তরের।

 যশোরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

যশোরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে মতে,যশোর জেলার ৮টি উপজেলার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শার্শায় ৪১টি।স্কুল গুলো হলো উলাশী,শিববাসশালকোনা, নাভারণ রেল বাজার, বালুন্ডা, বাগুড়ীকোটা,সুবর্ণখালী,ধান্যখোরা,গোগা কালিয়ানী,শাখারীপোতা,বসতপুর কলোনী,পোড়াবাড়ি,খলসী,নটাদিঘা ডুবপাড়া,আমলাই,বেড়ীনারায়নপুর,লক্ষণপুর,সাড়াতলা,গোপালপুল,গোগা, কালিয়ীন উত্তর, মহিষা, বাগুড়ী, বাগড়ী,রাঘবপুর,বাগআঁচড়া,বরিদাদহ,যদুনাথপুর,নারায়নপুর নতুনপাড়া,ধান্যখোরা উত্তর,সর্বাংহুদা,কাঠুরিয়া,কৃষ্ণপুর,কেরালখালী,কানাইখালী,পারুইখুপী,দৌলতপুর দক্ষিণ, ভুলাট, গোগা, সেতাই, শাখারীপোতা, বাগআঁচড়া মাঠপাড়া,বসতপুর ২নং কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সদর উপজেলাতে ১৮টি স্কুল ঝুঁকিপূর্ণ হলো টি.কে.জী সম্মিলনী,দেয়াড়া,মালঞ্জী,চাইলিয়া জনতা,আড়পাড়া,মধুগ্রাম,এফ.এম বি,রামকৃষ্ণ আশ্রম,আর্দশ,নতুন খয়েরতলা,ঘোপ সেবাসংঘ, ডুমদিয়া, তালবাড়িয়া, ছিলুমপুর,শ্রীকন্ঠনগর,নঙ্গরপুর,সরুইডাঙ্গা,সানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।অভয়নগর উপজেলাতে ৩টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোহলো পুড়াটাল,৪নং আড়পাড়া,প্রেমবাগ।কেশবপুর উপজেলাতে ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোহলো গৌরীঘোনা ইন্দুমতি,শ্রীরামপুর,সন্ন্যাসগাছা,পূর্ব বাউশালা।চৌগাছা উপজেলাতে ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোহলো হোগলডাঙ্গা, পাতিবিলা,মৎস্যরাঙ্গা,বড়গোবিন্দ্রপুর,স্বরুপদাহ,টেংগুরপুর,কড়িঞ্জা,বল্লভপুর,রাজাপুর,রামকৃষ্ণপুর,মির্জাপুর মধ্যপাড়া,চন্দ্রপাড়া।

ঝিকরগাছা উপজেলাতে ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোহলো ডহরমাগুরা,নবগ্রাম গঙ্গাধরপুর,টাত্তরা উত্তরপাড়া,কুল্ল্যা,হরিদ্রাপোতা,দেউলি নাভারণ, রঘুনানগর,মাটিকোমরা,শরীফপুর সারথী, মুকুন্দপুর, রাজার ডুমুরিয়া,কানাইরালী,নবীবনগর,হাড়িয়াদেয়াড়া,হাজিরালী,খাসখালী,মাটশিয়া,আশিংড়ী,বকুলিয়া,খরুষা,আটলিয়া,খোশালনগর বালিয়াডাঙ্গা,গঙ্গানন্দপুর।বাঘারপাড়া উপজেলাতে ১৫টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোহলো বহরমপুর,ক্ষেত্রপালা,হাবুল্যা,চাড়াভিটা,করিমপুর,পশ্চিমপাইকপাড়া,জয়রামপুর,পি.টি.এম,নারকেলবাড়িয়া,ধলগ্রাম,বাউলিয়া মামুদালীপুর, আজমেহেরপুর, যাদবপুর, দশপাখিয়া,দয়ারামপুর।

মনিরামপুর উপজেলাতে ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোহলো,উত্তরপাড়া, ব্রাক্ষণডাংগা,সুবলকাটি,নাউলী,হরিনা,কুশখালি,ভোজগাতি,মদনপুর,শাহপুর,নেংগুড়াহাট,লাউড়ি মোকারকপুর,লাউড়ি রামনগর,বলিয়ানপুর,বাটবিলা,খাল বাটবিলা,কামিনীডাংগা,উত্তর লাউড়ি,প্রতাপকাটি,হাকিমপুর,রামনগর,মাঝ লাউড়ি কলকাকলী,হুমাতলা,জয়নগর,বারপাড়া,কুচলিয়া,দেলুয়াবাটি,গোয়ালবাড়ি,গোবিন্দ্রপুর উত্তরপাড়া।

মনিরামপুর উপজেলা মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান,তার স্কুল ৪-৫ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ও সাথে জায়গা সংকটে রয়েছে।বিভিন্ন সময় ঝড়ে ভবনের প্লোস্টার ভেঙ্গে পড়ে।উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।দ্রুত ভবণ পুনঃনির্মান না হলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

যশোর সদর উপজেলার নালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন জানান,তার প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৩শত শিক্ষার্থী রয়েছে।প্রতিষ্ঠানটি ১৯২১ সালে নির্মাণ হলেও বর্তমানে জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে।বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন হালের খবর কর্তপক্ষকে জানালেও কোন প্রতিকার আসেনী।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম বলেন,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়ের নির্দেশনায় যশোর জেলায় ৮টি উপজেলার ১শত ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নত করা হয়েছে।ইতিমধ্যে এই তালিকাটি প্রাথমিক ওগণশিক্ষা মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে।চলতি বছরের ২০১৯/২০ অর্থবছরের প্রথমদিকে এই ভবণগুলো পুনঃনির্মান করা হবে ।

পিবিএ/জেএইচ/আরআই

আরও পড়ুন...