খাদ্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন নাসিম

পিবিএ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের মেম্বার্স ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ইফতার ও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। খাদ্যে ভেজালকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

সোমবার (২০মে) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের মেম্বার্স ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ইফতার ও আলোচনা সভায় এ দাবি জানান সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা ১৪ দলের পক্ষ থেকে খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি করে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এই ভেজালকারীদের ধরে প্রয়োজনে অর্থদণ্ড দিতে। এই ভেজালকারীরা মানুষরূপী নরপিশাচ। এদের শুধু অর্থদণ্ড নয়। ১৪ দলের পক্ষ থেকে আমরা দাবি করছি, এই ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এদের কোনোভাবে ক্ষমা করা যেতে পারে না।

খাদ্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন নাসিম

খাদ্যে ভেজালের জন্য বিএনপি-জামায়াতকেও দায়ী করে নাসিম বলেন, মানুষ পুড়িয়ে রাজনীতি করে এমন একটি রাজনৈতিক দল আছে, তাদের দ্বারাই সম্ভব এই ধরনের নরঘাতক ব্যবসা, খাদ্যে ভেজালের ব্যবসা করা। যার মাধ্যমে তাদের সন্তান মারা যেতে পারে, তার ভাই মারা যেতে পারে, আত্মীয়স্বজন মারা যেতে পারে।

এ সময় অতিদ্রুত কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, আজ আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও, বিদেশে রপ্তানি করে হলেও কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করব। এজন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। অর্থনৈতিক শক্তি বাঁচানোর মূল নিয়ামক কৃষককে বাঁচানোর জন্য যা যা করণীয় আপনাদের করতে হবে। অতি দ্রুত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন, এটা আমরা দাবি করছি।

বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিরোধী সব ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ঈদের পরে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি। তিনি বলেন, ইসলামের নামধারী যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, যারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, এমন প্রতেকটি দলের নামে নির্বাচন কমিশনকে কারণ দর্শানোর জন্য বলব এবং হাইকোর্টে রিট করব।

এটা আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বক্তব্য খুব সহজ। আপনারা দেখেছেন, এবার বর্ষবরণের সময় এক মৌলভী সাহেব বলে বসলেন, ইসলামে এটার ইয়ে নেই। আরে বর্ষবরণে ইসলামের কী আছে? বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা জাতিসত্তা আমরা কোনো ধর্মের কাছে বিকিয়ে দিতে যাই নাই। প্রত্যেক ধর্ম যার যার তার তার। এখানে ধর্মকে এনে আমার জাতীয়তাবাদ, আমার যে কর্মকাণ্ড এটাতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কাউকে দেই নাই।

নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...