কর্মক্ষেত্রে ক্লান্তি, কড়া নাড়ছে ডায়াবেটিস ?

পিবিএ ডেস্কঃ যে সব মহিলাদের চাকরি তাদের মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেয় সেই সব মহিলারাই বেশি টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন বলে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দেখিয়েছে। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ এন্ডোক্রিনোলজি-তে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব কাজ করলে মহিলারা মানসিকভাবে একেবারে ক্লান্ত-শ্রান্ত এবং বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন যেমন শিক্ষকতার পেশা, তাদের জীবনে ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে।

এই গবেষণা দেখিয়েছে যে নিয়োগকারী এবং মহিলা কর্মীদের মধ্যে এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বোঝাপড়া থাকা খুবই জরুরী যাতে কর্মক্ষেত্র কোন মহিলার কাছে এতটা ক্লান্তিকর না হয়ে ওঠে।

সম্পর্কিত গল্পঃ কাজের চাপে ঘুম হচ্ছে না? সাবধান, ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘনাচ্ছে না তো আপনার!
যাদের কাজের চাপ নেই এবং ভালো ঘুম হয়, তাঁদের তুলনায়, এই দু’টোই যাঁদের বেশি তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে মৃত্যুর তিনগুণ বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বলেই দেখা গিয়েছে ইউরোপীয় জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত ফলাফলে।

কি করে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখবেনঃ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে থাকা মানুষগুলি তাজা ফল, সবজি, গোটা শস্য, পাতলা ময়দা, মটরশুটি এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারে. টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গাজর, ব্রোকোলি এবং লেটুস মত ননষ্টারচি সবজি ভালো.

টাইপ টু ডায়াবেটিস ক্রমাগতই বিশ্বব্যাপী বেড়ে চলেছে। এর থেকে অজস্র রোগ এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব এবং কিডনি ফেলিওরের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সুস্থলতা, ডায়েট, শারীরিক কসরত না করা, ধূমপান করা প্রভৃতি নানা কারণে থেকেই টাইপ টু ডায়াবেটিস হতে পারে। কিন্তু এই গবেষণাকারী দলটি প্রায় ২২ বছর ধরে ৭০ হাজার মহিলার উপর পরীক্ষা চালিয়েছে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৭৫% মহিলা যারা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যে ২৪%-এর এই কাজটিকে অসম্ভব ক্লান্তিকর লাগে।

গবেষণা দেখিয়েছে ২১ শতাংশ মহিলা তাদের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্য গবেষক বলেন, ‘‘সরাসরি এই দুটি বিষয়কে সংযুক্ত করা না গেলেও এটা বোঝা যাচ্ছে যে ক্লান্তিকর কাজের সঙ্গে টাইপ টু ডায়াবেটিসের আশঙ্কার একটা সম্ভাবনা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।”

কর্মক্ষেত্রে ক্লান্তিকর অভিজ্ঞতা এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস দুটোই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় সমস্যা। কর্ম পরিবেশ এমন হওয়া উচিত যাতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের শ্রম-ক্লান্তি বোধ তাকে গ্রাস না করে। এর মাধ্যমেই সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখা একমাত্র সম্ভব।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...