পিবিএ ডেস্ক: ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকের পর থেকে কোনোবারই ট্রফি জয়ের আলোচনায় আসেনি বাংলাদেশ। গত আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলেছিল টাইগাররা, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। তবে এবারের আসরে টাইগারদের অবিশ্বাস্য কিছু করার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি সত্যিকার অর্থেই এবার টুর্নামেন্ট জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের। কিন্তু এটা সব বিষয় একসঙ্গে ক্লিক করার ওপর নির্ভর করছে। আর টুর্নামেন্টের দিকে তাকালে বোঝা যায় আমাদের কতটা ধারাবাহিক হতে হবে। অবশ্য রাউন্ড রবিন পর্বে ধারাবাহিক থাকলে আমরা অবশ্যই নকআউটে নাম লেখাতে পারব। এরপর সামনের দিকে তাকানো যাবে। তবে আমি বিশ্বাসী যে এবার আমরা ভালো করব।”
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ধারাবাহিক ভালো করছে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে। বড় দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই করছে বাংলাদেশ। তবে দলের বোলিং বিভাগ নিয়ে এখনো চিন্তিত সাকিব। আর বিশ্বকাপে এই দুর্বলতা অভিজ্ঞতা দিয়ে কাটিয়ে উঠতে চান তিনি, “আমরা দারুণ একটি দল পেয়েছি। তবে আমাদের বোলিংটা একটু পিছিয়ে। এটা নিয়ে আমি একটু চিন্তিত। নতুন ও ডেথ ওভারগুলোতে আমরা বেশ পিছিয়ে। কিন্তু ওভারঅল আমরা এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারব। কারণ আমাদের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
“আমাদের তিন-চারজন ক্রিকেটার আছেন যারা চারটি বিশ্বকাপ খেলেছে। তাই আমরা জানি কোথায় কী করতে হবে। এটাই আমাদের ভরসা। তাছাড়া নিজেদের দিনে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে। আমি আত্মবিশ্বাসী আমরা এবার বহুদূর যাব।”
কাগজে-কলমে এবারের বিশ্বকাপ ফেভারিট ইংল্যান্ড ও ভারত। এক নম্বরে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দুই নম্বরে ভারতকে নিয়ে মাতামাতি ক্রিকেটবিশ্বের। যেন ফেভারিট হলেই ট্রফি জেতা যায়! তবে এটা ক্রিকেট। এখানে কাগজে-কলমে কী হলো তার কিছুই আসে যায় না। মাঠের খেলাই মুখ্য। এটাই মনে করিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।
“ফেভারিট বলেই ইংল্যান্ড ভারত কাপ জিতবে, তা নয়। ক্রিকেট খেলাটা মাঠে হয়, সাদা কাগজে নয়, তাই মাঠে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে।” ৩০ মে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দিয়ে পর্দা উঠবে আইসিসি দ্বাদশ বিশ্বকাপ আসরের। ২ জুন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
পিবিএ/আরআই