পবিত্র রমজান মাসে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখা না রাখা এবং গর্ভের শিশুর ওপর তার প্রভাব নিয়ে মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোতে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভবতী মা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে অনাগত শিশুর জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী স্বাস্থ্যগত প্রভাব পড়ে।
২০০৯ সালে তেহরান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞরা এক গবেষণায় দেখেন গর্ভাবস্থায় রোজা রাখলে কম ওজনের শিশু জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ এবং ছেলে সন্তানদের ওপর এ প্রভাব অনেক বেশি।
সৌদি আরবে ২০১০ সালে গর্ভাবস্থায় রোজা রেখেছিলেন এমন সাত হাজার তিরাশি জন মায়ের ওপর গবেষণায় দেখা যায় তাদের গর্ভফুল বা প্লাসেন্টার ওজনও কম। মাতৃজঠরে গর্ভফুলের মাধ্যমেই শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় পুস্টি ও দরকারি উপাদান সরবরাহ হয়ে থাকে। গর্ভফুলের ওজন কম হলে তা শিশুর ওপর তাৎক্ষণিক বা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতা হতে পারে বলে গবেষকরা মতামত দিয়েছেন।