গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখা না রাখার বিষয়

পিবিএ ডেস্কঃ গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা মুক্ত থাকলে, রোজা রাখতে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। কিন্তু একজন গর্ভবতী রোজা রাখতে পারবেন কি পারবেন না, তা অনেক অংশেই নির্ভর করে তার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের উপর। তাই এক্ষেত্রে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে—
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আলেম গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখা না রাখা বিষয়ে কোরান হাদিসের আলোকে মতামত প্রদান করেছেন। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা যারা তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন বা যেখানে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে এমন মায়েদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয় বলে বেশিরভাগ আলেমগন মতামত দিয়েছেন। পরবর্তীতে সমানসংখ্যক রোজা রেখে, সমসংখ্যক দিন একজন গরিবকে অন্নদান করে বা অন্য আমলের মাধ্যমে তা পূরণ করতে বলা হয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখা না রাখা এবং গর্ভের শিশুর ওপর তার প্রভাব নিয়ে মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোতে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভবতী মা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে অনাগত শিশুর জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী স্বাস্থ্যগত প্রভাব পড়ে।

২০০৯ সালে তেহরান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞরা এক গবেষণায় দেখেন গর্ভাবস্থায় রোজা রাখলে কম ওজনের শিশু জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ এবং ছেলে সন্তানদের ওপর এ প্রভাব অনেক বেশি।

সৌদি আরবে ২০১০ সালে গর্ভাবস্থায় রোজা রেখেছিলেন এমন সাত হাজার তিরাশি জন মায়ের ওপর গবেষণায় দেখা যায় তাদের গর্ভফুল বা প্লাসেন্টার ওজনও কম। মাতৃজঠরে গর্ভফুলের মাধ্যমেই শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় পুস্টি ও দরকারি উপাদান সরবরাহ হয়ে থাকে। গর্ভফুলের ওজন কম হলে তা শিশুর ওপর তাৎক্ষণিক বা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতা হতে পারে বলে গবেষকরা মতামত দিয়েছেন।

পিবিএ/এম এস

আরও পড়ুন...