পিবিএ,রংপুর: রংপুরে পায়রাবন্দে শহীদ মিনার ভাংচুর ও জায়গা দাবীকে কেন্দ্র করে বকুল ও সাইফুল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ,হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫মে) বিকেলে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের তকেয়া কেশবপুর ভাঁজের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের, তকেয়া কেশবপুর ভাঁজের মোড়ে সাইফুল ইসলাম ও গোলাম মওলা বকুলের মধ্যে শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনায় ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মওলা বকুল বাদী হয়ে ভাজের মোড় এলাকার সাইফুল ইসলামকে অভিযুক্ত কওে গত ৪ এপ্রিল মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগটি মিঠাপুকুর থানা পুলিশ অধরতব্য অপরাধ তদন্তের অনুমতি চেয়ে মিঠাপুকুরে সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে আবেদন করেন। এদিকে এ ঘটনায় শনিবার (২৫মে) বিকালে স্থানীয়ভাবে মিমংসার দিন ধার্য্য হয়। বাদী গোলাম মওলা বকুল তার লোকজন নিয়ে ভাজের মোড় এলাকায় গেলে সাইফুলগংদের লোকজন গোলাম মওলা বকুলের লোকজন শফিকুল, মানিক ও শাহিনুরকে মারপিট করে। এ ঘটনার পরে এলাকায় টানটান উত্তোজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গোলাম মওলা বকুল বলেন, সাইফুল ও তার পরিবার জামাতের দোসর। এই সাইফুল বাহিনী বলেন এলাকায় তারা কোন শহীদ মিনার হতে দিবে না। সেজন্য এই শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলেছে। শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনাটি পুলিশ মামলা না নিয়ে অধরতব্য অপরাধ হিসাবে গন্য করে বসে আছেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমিই ইউপি চেয়ারম্যানের কে প্রস্তাব দিয়ে ওই জায়গায় শহীদ মিনারটি স্থাপন করেছি। আমার পরিবার দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামীলীগ করে আসছে। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছি। তারাই নৌকার বিপক্ষে আনারস মার্কার ভোট করেছে।
এ বিষয়ে এসআই মিজানুর রহমান পিবিএকে বলেন, আমি অভিযোগটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।
পিবিএ/এসআই/আরআই