ওমরা পালন করতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার ৪৭ হাজী

পিবিএ রিপোর্ট: গত ১১মে, বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জন হাজী সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় ওমরা পালন করতে গিয়ে পদে পদে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। মেসার্স নূর-ই সেফা এভিয়েশন নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি যার লাইসেন্স নম্বর ৩৫৪। উল্লেখিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৭ জন হাজী ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের মক্কায় পৌঁছে।

কিন্তু সেখানে পৌঁছার পর তাদের জন্য আগে থেকে হোটেলে থাকার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। কয়েক ঘন্টা খোলা আকাশের নিচে বসিয়ে রেখে পরে তাদেরকে সাধারন মানের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ইফতার বা সেহেরির কোন ব্যবস্থা ছিল না।

ভুক্তভোগী কয়েকজন ওমরা পালনকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিবিএকে জানান, ট্রাভেল এজেন্ট মেসার্স নূর-ই সেফার সঙ্গে সৌদি গমনের পূর্বে একটা চুক্তি করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল উন্নতমানের হোটেলে থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করা। চুক্তিতে এ সব কথা উল্লেখ থাকলেও মক্কায় পৌঁছার পর তাদের প্রতিনিধিরা তার ব্যবস্থা করেনি।


গতকাল সকালে মদিনা থেকে মক্কায় রাতে পৌঁছানোর পর কোন ওমরা পালনকারীকেই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়নি, সারারাত তাদেরকে মক্কার রাস্তার নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। ওই অবস্থায় ওখান থেকে এমদা হাজি গ্রুপের মালিক সাব্বির আহমেদকে ফোনে স্ববিস্তারিত জানানোর পরও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থাই করা হয়নি।

অনেককে রাগে দু:খে ইহরাম খুলে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া মক্কা থেকে গত ২০ তারিখে মদিনায় পৌঁছার পরও একই অবস্থায় পড়তে হয়েছে। সারারাত হোটেলের সামনের রাস্তায় বসিয়ে রেখে সকালে হোটেলে নেয়া হলেও, এখানেও সেহেরির কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে না খেয়েই রোজা রাখতে হয়েছে। আগামী ৫ জুন ৪৭ জন ওমরা পালনকারীদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত ও বিড়ম্বনার শিকার ৪৭ জন ওমরা পালনকারী উল্লেখিত ট্রাভেল এজেন্ট মেসার্স নূর-ই সেফার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং প্রসাশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান।

এ ব্যাপারে মেসার্স নূর-ই সেফা এভিয়েশনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।

মেসার্স নূর-ই সেফা এভিয়েশন এমদা হাজি গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

পিবিএ/এইচটি/আরআই

আরও পড়ুন...