পিবিএ ডেস্কঃ রক্তের প্রবাহ যত সুষ্ঠভাবে হবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও ততটাই ভাল থাকবে। স্বাস্থ্য ও চিকিত্সা বিজ্ঞান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির রক্তের স্বাস্থ্য যেমন, তার স্বাস্থ্যও ঠিক তেমনি হবে। রক্তে দূষিত হয়ে পড়লে আমাদের শারীর-স্বাস্থ্যে বিপর্যয় অনিবার্য। এ বিপর্যয় সামান্য অসুস্থতা থেকে শুরু করে হৃদরোগ, চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এ বার রক্ত দূষণের প্রধান কারণগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অস্বাস্থ্যকর আহারঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ফ্যাট এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে ধীরে ধীরে ধমনীর গায়ে জমা হতে থাকে। আবার রক্তস্রোতে উপস্থিত অতিরিক্ত ফ্যাটে রক্ত কণিকা ও প্লেটলেটগুলি জমাট বেঁধে যায়। ফলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে তার অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা কমে যায়।
থাইরয়েডের ত্রুটিঃ থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ডের কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হলে স্নেহ জাতীয় পদার্থের হজম ঠিক মতো হয় না। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে গিয়ে রক্তকে দূষিত করে ফেলে। থাইরয়েডের কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হয় খাবারের আয়োডিন বা ভিটামিন বি ১-এর অভাবে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খেলেও ভিটামিন বি ১-এর অভাব দেখা দিতে পারে।
ধূমপানঃ ধূমপানের ফলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস রক্তে মিশে রক্তের অক্সিজেনের ভারসাম্য নষ্ট করে। তাছাড়া, ধূমপানে নষ্ট হয় ভিটামিন সি, রক্ত চলাচলে যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এ ছাড়া নিকোটিনের প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধমনীগুলি সংকুচিত হয়ে পড়ে।
মদ্যপানঃ মদ্যপানের ফলেও রক্তকণিকাগুলো জমাট বেঁধে যায়, রক্তে ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে যায়, নষ্ট হয় বহু প্রয়োজনীয় পরিপোষক। সেই সঙ্গে কয়েকটি এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়।
পিবিএ/এমআর