পূষ্টি তথ্য:
প্রতি এককাপ আমে (২২৫ গ্রাম) ১০৫ ক্যালরি রয়েছে। এছাড়াও ৭৫ শতাংশ এ্যান্টিআক্সিডেন্ট সম্বৃদ্ধ ও রোগ প্রতিরোধী ভিটামিন সি এবং ২৫ শতাংশ ভিটামিন এ। ১১ শতাংশ ভিটামিন বি সিক্স ও ভিটামিন বি যা আপনার মস্তিস্কে হরমোন বৃদ্ধি করবে এবং হৃদরোগ কমাতে সহায়তা করে। আছে ৯ শতাংশ প্রবায়োটিক ফাইবার। আরো আছে ৭ শতাংশ কপার, যা রক্তে লোহিত কনিকার উৎপাদন বাড়ায় এবং আমে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
ক্যানসার প্রতিরোধী:
আমে রয়েছে ক্যুয়েরসেটিন, আইসোক্যুয়েরসেটিন, অ্যসট্রাগালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক এসিড ও মিথাইলগ্যালেট সম্বৃদ্ধ এ্যান্টিআক্সিডেন্ট থাকার কারণে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। বিশেষত কোলন, ব্রেস্ট ক্যানসা্র, লিউকেমিয়া ও প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে আম বেশ কার্যকরী।
কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে:
আমে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, পেকটি্ন ও ফাইবার বা আশঁ। এই উপাদানগুলো আমাদের রক্তে কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পটাশিয়াম আমাদের হৃদপিন্ডের স্পন্ধন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক।
ত্বক পরিষ্কারক:
পাকা আম ত্বক পরিষ্কার করে। মুখে ব্রনের কারণে সৃষ্টি গর্ত ঠিক করতে পাকা আম কার্যকর। আম পাতলা করে কেটে ১৫/২০ মিনিট মুখে মেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে এবং মুখের গর্ত ভরাটে সহায়তা করবে।
দেহে ক্ষারীয় উপাদানের সরবরাহ:
আমে রয়েছে টারটারিক এসিড ও ম্যালিক এসিড। এই উপাদান সমূহ প্রাথমিক ভাবে আমাদের দেহে ক্ষারের পরিমান নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
আমে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও অন্যান্য পূষ্টিগুন সম্বৃদ্ধ যা ওজন কমাতেও সহায়তা করে। উচ্চ আঁশ সম্বৃদ্ধ আম হজম শক্তি বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণ:
আমের পাতা হালকা সিদ্ধ করে সারারাত রেখে দিয়ে সকালে সেই পানি পান করলে ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। আম লো গ্লাইসেমিক সম্বৃদ্ধ (৪১-৬০),তাই ডায়বেটিক রোগীরা আম খেলেও খুব বেশী ব্লাড সুগার বাড়ার আশংকা কম।
চোখের যত্নে:
আমে রয়েছে অনেক ভিটামিন এ যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভাল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আম রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
হজমে সহায়ক:
আমের উচ্চগুণ সম্পন্ন ভিটামিন ও প্রি-বায়োটিক ডায়েটারি ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে:
প্রচণ্ড গরমে আমের রস আপনার দেহ কে দ্রুত ঠাণ্ড করে এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
আমের ভেতরে থাকা আসাধারণ পূষ্টিগুণ সম্পন্ন ভিটামিন সমূহ এবং এ্যান্টিআক্সিডেন্ট আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে:
আমে রয়েছে গ্লুটামিন এসিড যা মানুষের স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। ছোট শিশুদের কে নিয়মিত আম খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
কিডনী পাথরের বিরুদ্ধে কার্যকর:
চাইনিজ সনাতন চিকিৎসায় আমকে কিডনী পাথর দূরীকরণে ব্যবহার করা হয়। আমের টক-মিষ্টি স্বাদ এবং দেহকে ঠাণ্ডা রাখার ক্ষমতার কারণে এটা কিডনীতে পাথর হওয়া রোধ করে।
পিবিএ/এমএস