পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় সদর উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতা জহির উদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করছে মোস্তাফা নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে মনমালিন্য হওয়ায় ওই আওয়ামীলীগ নেতা ও তার স্ত্রী ইউপি সদস্যকে ঘায়েল করতে চাঁদাবাজির মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামে।
মিথ্যা মামলার শিকার জহির উদ্দিন মানিক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য এবং উপজেলার বিনোদধর্মপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ উল্যাহ মাষ্টারের ছেলে। তার স্ত্রী রৌশন আক্তার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।
শুক্রবার (৩১মে) সকালে ভুক্তভোগী জহির উদ্দিন মানিক ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রৌশন আক্তার সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তারা জানান, ২০১৩ সালে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার পরিবারের সদস্যরা তেওয়ারীগঞ্জ মহিলা সমবায় সমিতি থেকে মোস্তফার ছেলে আব্দুর রহিম ৮০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এর মধ্যে প্রায় ৬৩ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর ১৭ হাজার টাকা বাকি থেকে যায়। যাহার প্রমাণপত্র তাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু বাকি টাকা না দিয়ে মোস্তফার ছেলে প্রবাসে চলে যায়।
এর পর থেকে মোস্তফার কাছে একাধিকবার টাকা চাওয়া হলে সে বহুদিন থেকে বিভিন্ন অযুহাতে নানা তালবাহানা করতে থাকে। দীর্ঘ দিন পার হওয়ার পর ২০ মে সোমবার আ.লীগ নেতা জহির উদ্দিন মানিকের স্ত্রী ইউপি সদস্য রৌশন আক্তার মোস্তফার কাছে টাকা চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। জহির বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে গেলে মোস্তফার সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়।
পরের দিন মোস্তফা বাদী হয়ে আদালতে ৭ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ২৯ মে বুধবার লক্ষ্মীপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সদরে একটি চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
জহির উদ্দিন মানিক আরো অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তার বিরোধ চলে আসছে। প্রতিপক্ষ তাদের ঘায়েল করতে মোস্তফাকে দিয়ে চাঁদাবাজির সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এছাড়াও ঘটনাটি সম্পর্কে সাংবাদিকের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায়। যা মানহানিকর বলেও অভিযোগ করেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।
এ বিষয়ে বাদী মোস্তোফা জানায়,পাওনা টাকার বিষয়ে স্বীকার করে বলেন, টাকা পাবে আমার ছেলে রহিমের কাছে, ঐ টাকার বদলে তারা আমার ছেলের ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। মেম্বার রৌশন আরা সাথে খারাফ আচারণের বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে তেওয়ারগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলুকে মুঠোফোনে শুক্রবার (৩১মে) একাধিকবার করে তাকে পাওয়া যায়নি।
পিবিএ/এ/আরআই