আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ

পিবিএ ডেস্ক: সরকার আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিলেও ডিমান্ড নোট ফি হিসেবে গ্রাহকের জমাকৃত টাকা ফেরতের বিষয়ে নিশ্চয়তাও মিলছে না। তদুপরি আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগে এখনো আশাবাদী কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (কেজিডিসিএল)।

gas-pba
কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমদ মজুমদার বলেন, ‘গত ২১ মে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আবাসিকে আর নতুন সংযোগ না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলেও কর্ণফুলী গ্যাসে জমা হওয়া পুরোনো ২০ হাজার আবেদন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। ওইসব আবেদনের বিপরীতে ডিমান্ড নোট ফি হিসেবে জমা হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি মন্ত্রণালয়। এতে আমরা আশা করছি পুরোনো এসব আবেদনের বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
জানা যায়, ২০১৩ সালের ৭ মে নতুন করে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার পেট্রোবাংলার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামে নতুন সংযোগ পেতে ২০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এতে ডিমান্ড ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা হয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। পরে ২০১৫ সাল থেকে নতুন আবেদন ও সংযোগ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই বিপাকে পড়েন নতুন আবেদন করা গ্রাহকরা।

এদিকে গত ২১ মে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আবাসিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও সিএনজি খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওই বৈঠকের পর এক আদেশে বাতিল করা হয় গ্যাস সংযোগের আবেদন নিষ্পত্তিতে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটিও। কিন্তু কর্ণফুলী গ্যাসে আবেদন করা সেই ২০ হাজার গ্রাহক সংযোগ না পেলেও তাদের জমা করা ডিমান্ড নোটের টাকা ফেরতের বিষয়েও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি ওই বৈঠক থেকে।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের শেষের দিকে নতুন গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য অনেকে আবেদন করেন। মূল লাইন থেকে সংযোগ অনুযায়ী দূরত্ব হিসেব করে প্রথম তিন মিটার বাদে পরবর্তী প্রতি মিটার পাইপের জন্য এক হাজার ৬০ টাকা হিসেবে ডিমান্ড নোটের সাথে টাকা জমা দিতে হয়েছে। একেকটি আবেদনের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা দিতে হয়েছে। ঠিকাদারের চার্জবাদেও ডিমান্ড নোট ইস্যুতে কর্ণফুলী গ্যাসের কর্মকর্তাদের ঘুষও দিতে হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা অভিযোগ করেন।

কেজিডিসিএল সূত্রে জানা যায়, আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পখাত মিলিয়ে চট্টগ্রামে গ্যাসের গ্রাহক রয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার। তন্মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ৫ লাখ ৭৫ হাজারের অধিক। তাছাড়া শিল্পকারখানা আছে এক হাজার ৫০০। চট্টগ্রামে সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে ৭০টি। শিল্প, বাণিজ্যিক, সার-বিদ্যুৎ ও চা বাগানসহ সব মিলে আরো ৪ হাজার ৯২টি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাসের গ্রাহক। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা থাকে ৪৮০-৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামে বহুল প্রতীক্ষিত এলএনজি সরবরাহ শুরু করে পেট্রোবাংলা। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস পাচ্ছে কেজিডিসিএল।

পিবিএ/জেআই

আরও পড়ুন...