পিবিএ’র খবরে ইউএনও ঈদ সামগ্রী নিয়ে মজিরন বেওয়ার বাড়িতে


পিবিএ,গুরুদাসপুর(নাটোর): বার্তাসংস্থা পিবিএ’তে নিউজ প্রকাশের পর গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান ঈদের পোশাক ও ঈদ সামগ্রী নিয়ে মজিরন বেওয়ার বাড়িতে যায়, ঈদের পোশাক পেয়ে খুশি মজিরন বেওয়া। মজিরন বেওয়ার পরিবারে সকল সদস্যরা পেলো ঈদ উপহার। নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ঈদ সামগ্রী কিনে ২ কি.মি পথ হেটে গিয়ে বিধবা মজিরন বেওয়ার বাড়ির সকল সদস্যদের শাড়ি-লুঙ্গী, সেমাই, চিনি পৌছে দিয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান।

শনিবার দুপুর ১২ টায় গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গুচ্ছু গ্রামে বসবাসরত বিধবা মজিরন বেওয়ার পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে তিনি এই ঈদ সামগ্রী তুলে দেন।

শুক্রবার বার্তাসংস্থা পিবিএ’তে এক-খান শাড়ি চান সেই মজিরন বেওয়া” এই শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ হলে অনেকেই ফোন দিয়ে বিধবা মজিরন বেওয়াকে শাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। নিউজ প্রকাশের কয়েক মিনিট পরেই গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মিজানুর রহমান পিবিএ’র প্রতিনিধি নাজমুল হাসান নাহিদকে ফোন করে বলেছিলেন আমি বাহিরে আছি। এলাকায় আসলেই বিধবা মজিরন বেওয়ার আবদার পুরণ করা হবে। শনিবার দুপুরে তিনি সংবাদকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ২ কি.মি পথ হেটে ছুটে যান সেই বিধবা মজিরন বেওয়ার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে মজিরন বেওয়াসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের হাতে তিনি ঈদ সামগ্রী তুলে দেন।

পরে তিনি গুরুদাসপুর মসজিদ মার্কেট শহীদ মোবারক সড়কে অবস্থিত দরিদ্র সংস্থার অফিসের প্রধান কার্যালয়ের মানবতার দেয়ালে আরো হত দরিদ্র পরিবারের জন্য নতুন পোশাক রেখে যান। তিনি দরিদ্র সংস্থার সভাপতি নাজমুল হাসান নাহিদকে বলেন, প্রথমেই ধন্যবাদ আপনাকে। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার হত দরিদ্র মানুষদের দুঃখ কষ্ট তুলে ধরার জন্যে। এরকম মজিরন বেওয়া আমাদের আশপাশে আরো অনেক আছে। তাদেরকেও আপনি তুলে ধরুন। আমি আমার সাধ্যমত তাদেরকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

পিবিএ/এনএইচএন/এমএসএম

আরও পড়ুন...