ঘরে ঘরে গিয়ে শিক্ষাবৃত্তি’র টাকা পৌঁছে দিয়েছেন হাটহাজারীর ইউএনও

 

খোরশেদ আলম শিমুল,হাটহাজারী: হাটহাজারী উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের সোনাই ত্রিপুরা পাড়ার ৬৩ জন শিক্ষার্থীর ঘরে ঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাবৃত্তি’র টাকা পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন।

শনিবার(১ জুন) দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সোনাই ত্রিপুরায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে এ টাকা তুলে দেন। এর ফলে এই প্রথম ত্রিপুরা পাড়ার শিক্ষার্থীদের কাছে সরাসরি সরকারি কোনো সুবিধা পৌঁছালো।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরা পাড়াটি হাটহাজারী উপজেলার চট্টগ্রাম -নাজিরহাট মহাসড়ক থেকে ৮ কিলোমিটার ভিতরে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।সোনাই ত্রিপুরা পাড়ায় বসবাসরত ৫২টি পরিবারের মধ্যে ৬৩জন শিক্ষার্থীকে মোট ৫ লক্ষ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে ২শ করে ২৩ মাসের জন্য এককালীন ৪ হাজার ৬শ টাকা (প্রতি শিক্ষার্থী) করে প্রাথমিকের ৪০ শিক্ষার্থীকে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ২ বছরের জন্য ৫শ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীকে এককালীন ১২ হাজার টাকা হিসেবে মাধ্যমিকের ২০ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া মাসে ৮শ টাকা করে ২ বছরের জন্য এককালীন ১৯ হাজার ২শ টাকা ধরে উচ্চ মাধ্যমিকের ৩ শিক্ষার্থীকে ৫৭ হাজার ৬শ টাকা বৃত্তি দেয়া হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের হাতে বৃত্তির টাকা প্রদানকালে হাটহাজারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া তালুকদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও রুহুল আমিন পিবিএ’কে বলেন, বৃক্তির টাকা বিতরনের জন্য ছিলনা কোন প্রকার আনুষ্ঠানিকতা। সাউন্ড সিস্টেম ও মাইক টাঙ্গিয়ে ডেকোরেশনের চোখ ধাঁধানো রঙ বেরঙের কাপড়ে মঞ্চ তৈরি করে সভার নামে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি আমন্ত্রণ করা হয়নি। গত এক মাস আগে থেকে সোনাই ত্রিপুরা পাড়ার প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
আজ আমি সত্যিই খুব খুশী হাটহাজারী উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত দুর্ঘম এলাকায় গরীব দুঃস্থ পরিবারের ক্ষুদে ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পেরে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃত্তির টাকাগুলো যেন এক টাকাও নষ্ট না করে তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমি নিজ হাতেই তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দিয়েছি।

 

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...