বিয়ের সময় যে সব জঘন্য নিয়ম পালন করা হয়


পিবিএ ডেস্কঃ দাম্পত্য জীবন মানবজীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর সূচনাপর্ব হলো বিবাহ। বিবাহ হলো ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ইবাদত। কোরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তোমরা বিবাহযোগ্যদের বিবাহ সম্পন্ন করো, তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছলতা দান করবে।অথচ আমাদের সমাজের নিয়ম-

১. বিয়ের গোসল দেয় ভাবিরা, অথচ স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে গোসল দিতে দেয়না।

২. বিয়ে করলেন আপনি, আর বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনার হাত ধুয়ে দিবে আপনার শালি। বউকে কোলে করে ঘরে নিয়ে যাবে আপনার ছোটভাই, মানে দেবর। অবাক নয় কি??!!!!

৩. বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে আজীবন।
অথচ আমাদের দেশে বলা হয় আগে ক্যারিয়ার গড়ো তারপর বিয়ে কর। পরিণতিতে পার্কে পার্কে অবাধ প্রেমলীলা, ধর্ষণের সেঞ্চুরি আর ডাস্টবিন গুলোতে বেওয়ারিশ শিশু লাশের ছড়াছড়ি যা কুকুর, কাক আর শকুন মিলে ভাগাবাটি করে খায়।

৪. বিয়ে করে বউকে খাওয়াবি কী?????
কথাবার্তা শুনে মনে হয় বউ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাদক যার ক্ষুধা নিবারণ করা দু:সাধ্য।

৫. আলেমদের ওয়াজ মাহফিল শুনলে মনে হয় পর্দা শুধু নারীদের জন্য। অথচ আল কুরআনে সর্বপ্রথম পুরুষের পর্দার কথা বলা হয়েছে।এ

৬. বিয়ে মানেই মেয়ের বাবার উপর খরচের পাহাড় চাপিয়ে দেয়া। অথচ ইসলামে দাওয়াত খাওয়ানোর দায়িত্ব বর পক্ষের, কন্যা পক্ষের নয়।

৭. আমাদের দেশে বরপক্ষ যৌতুক নেয়, মোহরানা না দিয়ে বাসর রাত্রে স্ত্রীর নিকট ক্ষমা চায়। অথচ ইসলামি বিধান মতে স্ত্রীরা মোহরানার হক্বদার, যৌতুক তো সম্পুর্ণ হারাম।

৮. কতিপয় হুজুরের কথাবার্তা শুনে মনে হয় সেবা পাওয়ার হক্বদার শুধুই স্বামী। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট (দ্বীনের ক্ষেত্রে) উত্তম।

৯. বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের হাতে স্বর্ণের আংটি না পরালে মান সম্মান থাকেনা, অথচ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।

১০. পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপরে, আর মেয়েদের কাপড় থাকবে টাখনুর নিচে। অথচ বাস্তবতা???????

১১. আলেম-ওলামারা শুধু পিতা-মাতার খেদমতের হাদিস বয়ান করে থাকে, অথচ সন্তান লালন-পালনের অনেক হাদিস রয়েছে যে ব্যপারে এক অজানা নিরবতা। দুই একজন হুজুর এ ব্যপারে কথা বললেও সর্বোচ্চ সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষাদানের গুরুত্ব পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

১২. বিয়ের ব্যপারে হাজারো বাধা বিপত্তি থাকলেও ব্যভিচার একেবারেই সহজলভ্য।

১৩. কতিপয় লোকের কাণ্ড কারখানা দেখলে মনে হয় যে, কন্যাকে- বোনকে সম্পত্তি ফাঁকি দিতে পারা সবচেয়ে বড় ক্রেডিট।

১৪. রাসুলুল্লাহ (সা) তাক্বওয়া ভিক্তিক পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন, আর আমরা করছি চেহারা আর সম্পত্তি ভিক্তিক।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...