রাজধানীতে সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রসহ নিহত ২

প্রতীকি ছবি
পিবিএ, ঢামেক: রাজধানীর রামপুরা ও মিরপুরে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন স্কুলছাত্র রিমন সরদার (১৬) ও ওয়ার্কশপ কর্মচারী রবিউল ইসলাম (১৮)।
রবিবার দিবাগত রাতে এই পৃথক ঘটনা ঘটে। ময়না তদন্তের জন্য দুটি লাশই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
রিমন রামপুরা একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। থাকতো উলন জমিদার গলীর ১৭৬/৪ নম্বর ৫ তলা বাড়ির ৪তলায়। বাবা নাসির সিএনজি চালক আর মা মৌসুমি আক্তার গার্মেন্টস কর্মী। তাদের বাড়ি গাজিপুর কালিগঞ্জে। ২ ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। ছোটভাইয়ের নাম
হাসপাতালে রিমনের খালা মিথীলা আক্তার জানান, ভোরে ৫ তলার ছাদে বন্ধু সাকিব ও ইমনের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো সে। দুষ্টিমি করতে করতে একসময় রিমন তার বন্ধুদের বলে সে লাফিয়ে পাশের ভবনের ছাদে যেতে পারে। এরআগেও অনেকবার গেছে। বন্ধুদের দেখানোর জন্য সে লাফিয়ে পাশের ভবনের ছাদে যেতে চায় এবং বন্ধুদের তা মোবাইলে ভিডিও করতে বলে। বন্ধুরা নিষেধ করলেও সে না শুনে পাশের ছাদে যাওয়ার জন্য লাফ দেয়। তবে একেবারে নিচে পড়ে যায় সে।
এতে গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ভোর সাড়ে ৬ টায় মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মিরপুর শাহ আলী নবাবেরবাগ এসএ ইঞ্জিনিয়ারীং ওয়ার্কশপে কাজ করে রবিউল। ঝালকাঠি কাঠালিয়া উপজেলার ফোরকান মিয়ার ছেলে রবিউল। থাকতো মিরপুর শিয়ালবাড়ি এলাকায়।
মৃত রবিউলের খালু মোঃ আমানউল্লাহ আমান জানান, গত রাত্রে ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকা মেশিন থেকে রবিউল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত ১২ টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ২টি লাশই ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
পিবিএ/এইচএ/জেডআই

আরও পড়ুন...