পিবিএ ঢাকা: প্রথমে অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করলেও অবশেষে পাঞ্জাবির বেশি দাম নেয়াকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে স্বীকারোক্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে আড়ং।
ছয় দিনের ব্যবধানে একই পণ্যের দ্বিগুণ দাম নেয়ার অভিযোগে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা এবং একটি আউটলেট বন্ধ করে দেয়ার পর এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে আড়ং। প্রতিষ্ঠানটির দাবি দ্বিগুণ দাম নেয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
সোমবার দুপুরে আড়ংয়ের উত্তরা আউটলেটে দ্বিগুণ দাম নেয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটিকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ওই আউটলেটটি ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম সোমবার বিকালে বলেন, ‘ক্রেতাদের সুবিধাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আড়ং কখনোই কোনো উৎসবের আগে অধিক লাভের জন্য পণ্যের দাম বাড়ায় না। মোবাইল কোর্টের অভিযানের পরপরই এ বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে আড়ং কৃর্তপক্ষ জানতে পারে যে ভুলবশত কয়েকটি পণ্যে অন্য পণ্যের ট্যাগ লাগানো হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল এবং আড়ং সকল ক্রেতাবৃন্দের কাছে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।’
আশরাফুল আলম বলেন, ‘ক্রেতাদের সুবিধার্থে ঈদের আগে দ্রুত আবারো কার্যক্রম চালুর জন্য আড়ং কর্তৃপক্ষ সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। কোনো ক্রেতা যদি আড়ংয়ের কোনো আউটলেটে এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখেন তাহলে তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আউটলেটে অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং বিদ্যমান পলিসি অনুযায়ী তাকে বাড়তি মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাৎক্ষণিকভাবে ফেরত দেয়া হবে।’
তবে এর আগে উত্তরা আড়ং শাখার হিসাবরক্ষক আনিসুর রহমান দাবী করেন, ”অভিযোগ সত্য নয়। দুই পাঞ্জাবিতে দুই ধরনের কাপড় ছিল, যদিও দুটোই দেখতে প্রায় একইরকম। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন।”
টাঙ্গাইলের কুমুদিনি ওমেন্স মেডিকেলের চিকিৎসক ইবরাহীম খলিলের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সোমবার দুপুরে অভিযান চালান। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর আড়ংকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা এবং ২৪ ঘণ্টার জন্য উত্তরার আউটলেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক ইবরাহীম খলিল বলেন, ‘আমি গত ২৫ মে উত্তরা আড়ং থেকে একটি ড্রেস কিনি। যার মূল্য ছিল ভ্যাট ছাড়া ৭০০ টাকা। পরে আমার ছোট ভাই ৩১ মে একই ড্রেস এই আউটলেট থেকে কিনেন ১৩শ টাকা দিয়ে। অথচ একই কাপড়, একই ডিজাইনের পোশাকটির দাম ৬০০ টাকা বেশি নিয়েছে তারা। পরে আমি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের শরণাপণ্ন হই।’
পিবিএ/এএইচ