৬ খণ্টা পর খুলে দেওয়া হলো আড়ং’র উত্তরা শাখা

আড়ং উত্তরা শাখা

পিবিএ ডেস্ক: ভুল সংশোধন এবং জরিমানার সাড়ে চার লাখ টাকা পরিশোধ করে দুঃখ প্রকাশ করার সাময়িক বন্ধ থাকার ছয় ঘন্টা পর খুলে দেয়া হয়েছে আড়ং’র উত্তরা শাখা। ছয় দিনের ব্যবধানে একই পোশাক প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রির অভিযোগে আড়ংয়ের উত্তরা শাখা সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের ভ্রাম্যমান টীম।

সোমবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আড়ংয়ের উত্তরা শাখাটি খুলে দেওয়া হয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।

তিনি জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদফতর যে অভিযোগে শাখাটি বন্ধ করেছিল, সে অভিযোগটি সঠিক ছিল। অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে তারা জানতে পেরেছেন, পোশাকের ট্যাগে ভুলভাবে মূল্যতালিকা উপস্থাপন করা হয়েছিল। সে কারণেই পোশাকটির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

আশরাফুল আলম বলেন, ভুল শনাক্ত করার পর আমরা সেটি সংশোধন করেছি। বিষয়টি ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। বিষয়টি জানার পর তারা জরিমানা বহাল রেখে ২৪ ঘণ্টা আউটলেট বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং আউটলেট খোলা রাখার অনুমতি দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়ংয়ের ওই শাখায় অভিযান চালানো ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গত ২৫ মে এক ক্রেতা উত্তরা আড়ং থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৭১৩ টাকায়। একই পাঞ্জাবি ৩১ মে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ৩১৫ টাকা। অধিদফতরে এমন অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পায় অধিদফতর। আড়ং অভিনব কায়দায় বেশি দাম লিখে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। মাত্র ছয়দিনে একটি পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা। যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা। তাছাড়া পণ্যগুলোর ট্যাগে কী ধরনের কটন ব্যবহার করা হয়েছে, তারও উল্লেখ নেই।

তিনি জানান, আড়ং একটি ব্র্যান্ড। দেশি ভালো পণ্য বিক্রি করে বলে তাদের প্রতি ক্রেতাদের রয়েছে আস্থা ও সরল বিশ্বাস। এটি পুঁজি করে কৌশলে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে, যা ভোক্তা আইনপরিপন্থী। এ অপরাধে তাদের সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। তারা যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।

অভিযোগকারী ক্রেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, গত ২৫ মে আড়ংয়ের উত্তরা শাখা থেকে একটি পাঞ্জাবি ৭০০ টাকা দিয়ে কিনি। পরে ৩১ মে একই পাঞ্জাবি কিনতে এসে দেখি দাম ১৩০০ টাকা । পরে বেশি দামেই পাঞ্জাবীটি কিনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করি। তারা আজ আমাকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালান।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...