টিভি নয়, ফেসবুকের কারণেই আমি আজ ‘রাসেল মিয়া’

জনপ্রিয় নাট্যকার রাসেল মিয়া

পিবিএ, ঢাকা: সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব রাসেল মিয়া বলেছেন, রেডিও, টিভি বা সিনেমা নয়, ফেসবুকের মাধ্যমেই আমি আজ রাসেল মিয়া।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিন পিবিএ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রাসেল মিয়া সামাজিক মাধ্যমের একটি জনপ্রিয় নাম। তরুণ নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা। ‌’সংশোধন চলচ্চিত্র’র ব্যানারে জীবন ও সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলো শৈল্পিক উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াস পান রাসেল মিয়া।

তার ছোট ছোট ভিডিওগুলোকে বলা যায় জীবনের খন্ড চিত্র। এ পর্যন্ত ১০৬টি স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এগুলোর চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা, প্রযোজনা সবই তিনি নিজেই করেছেন। সবগুলোতে প্রধান চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন। তার নাটক/চলচ্চিত্রের বিষয়গুলো খুবই জীবনঘনিষ্ট এবং তার অভিনয়ও খুবই প্রাণবন্ত। তার চলচ্চিত্রের প্রায় সবই প্রকাশ পেয়েছে ইউটিউব ও ফেসবুকে। যার কারণে সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে তিনি তিনি দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে খুবই জনপ্রিয়।

বৃহস্পতিবার (ঈদের পরদিন) উত্তরাস্থ পিবিএ অফিসে এসেছিলেন রাসেল মিয়া এবং অকপটে স্বীকার করলেন তার ব্যাপক জনপ্রিয়তার পেছনে সামাজিক মাধ্যমের অবদানের কথা, এ মাধ্যমের ব্যবহারকারিদের ভালোবাসার কথা। তিনি বলেন, রেডিও, টিভি কিংবা সিনেমা হল নয়, আমি এ পর্যন্ত এসেছি, রাসেল মিয়া হয়েছি ইউটিউব ও ফেসবুক ব্যবহারকারী বন্ধুদের সমর্থন ও ভালোবাসার কারণে। তারাই আমার কাজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।

ব্যক্তিগতভাবে রাসেল মিয়া একজন খুবই অমায়িক, ভদ্র ও নিরহংকারি মানুষ। তিনি দাবী করেন, বাণিজ্য নয়, দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি ভিডিও তৈরি করেন। তিনি বলেন, আমি রাসেল মিয়া ইউটিউবে বাণিজ্য করার জন্য ভিডিও তৈরি করি না, ভিডিও তৈরি করি মানুষের কল্যানের জন্য।

বিনোদন জগতে কেন আসলেন, এই প্রশ্নের জবাবে রাসেল মিয়া বলেন, আমি চাই কিছু ভাল কাজ করে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে। আর আমার দৃষ্টিতে এ জন্য বিনোদন হচ্ছে সবচেয়ে উপযোগি ও শক্তিশালী মাধ্যম। তিনি বলেন, আমি এ পর্যন্ত ১০৬টি স্বল্প-দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি, এর মাধ্যমে আমি নিজেকে সাজাতে (আর্থিকভাবে) না পারলেও মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি রাসেল মিয়া মাত্র দুই বছরে বাংলাদেশে এবং সারা বিশ্বে জায়গা করে নিয়েছি।

ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান রাসেল মিয়া জানান, জনপ্রিয়তার জন্য তিনি সামাজিক মাধ্যমের নিকট ঋণি, কিন্তু মানুষ হওয়ার জন্য তিনি আজীবনের ঋণি তাঁর মায়ের কাছে। তিনি জানান, তিনি খুব ছোট থাকতেই তাঁর বাবা মারা যান। তাঁর মা খুব কষ্ট করে তাঁকে এবং তাঁর ছোট বোনকে মানুষ করেছেন। ছোট বোনকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে মাকে নিয়েই তাঁর সংসার। তবে তিনি জানান, (হেসে), শীঘ্রই বিয়ে করছেন তিনি এবং কোন প্রেম-ট্রেম নয়, মায়ের পছন্দের এবং গ্রামের মেয়েকেই বিয়ে করছেন তিনি। তিনি হাস্যোচ্ছললে বলেন, দোয়া করবেন, যেন শীঘ্রই আমার জীবন-সঙ্গিনীকে নিয়ে পিবিএ অফিসে আসতে পারি।

রাসেল মিয়া জানান, শত ব্যস্ততার পরও গ্রামের সাথে তার গভীর যোগাযোগ রয়েছে। এবারের ঈদেও তিনি গ্রামে গিয়েছিলেন এবং গ্রামের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রাম আমাদের অস্তিত্বের শিকড়। গ্রামের প্রতি আমি একটা দায়বদ্ধতা অনুভব করি। আমাদের প্রতি গ্রামবাসীদেরও একটা অধিকার বা হক রয়েছে। সেই হক আদায়ে কারোই কার্পণ্য করা উচিত নয়।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...