পিবিএ, ডেস্ক: চার বছর একসঙ্গে ছিলেন হলিউড তারকা ব্র্যাডলি কুপার আর রুশ মডেল ইরিনা শায়েক। তাঁদের একমাত্র কন্যা লে ডি শাইন। গত বছর মার্চ মাসে তাঁরা বাবা-মা হয়েছেন। এবার পিপল ডটকম জানিয়েছে, ৪৪ বছর বয়সের ব্র্যাডলি কুপার আর ৩৩ বছরের ইরিনা শায়েক আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্র্যাডলি কুপারের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি থেকে যখন ইরিনা শায়েক চলে যান, তখন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন। এখন মেয়ের দায়িত্ব ভাগাভাগি করার জন্য তাঁরা আইনি সহায়তা নেবেন।
ব্র্যাডলি কুপার আর ইরিনা শায়েকের বন্ধুদের বরাত দিয়ে পিপল ডটকম জানিয়েছে, অনেক দিন থেকেই তাঁদের সম্পর্ক খুবই শীতল ছিল। গত কয়েক মাস ধরে তাঁরা একেবারেই ভালো ছিলেন না। বলা যায়, তাঁদের এই সম্পর্ক শুধু ঝুলে ছিল। শেষ পর্যন্ত ইরিনা শায়েক নিজেই তা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তাঁর কাছে মনে হয়েছে, এখন আর এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনো মানে হয় না।
এর আগে আরও একবার ব্র্যাডলি কুপার আর ইরিনা শায়েকের সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিল। ২০১৫ সালের মে মাসে পিটিআই জানায়, ব্র্যাডলি কুপার আর ইরিনা শায়েকের প্রেমের সম্পর্ক টিকল মাত্র ৯ মাস। আর তখন যুক্তরাজ্যের ডেইলি মিরর জানিয়েছে, ব্র্যাডলির মা আর ইরিনা শায়েকের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে। পরিস্থিতি একসময় আরও খারাপের দিকে চলে যায়। শেষে এই দুজনের টানা বচসার যন্ত্রণায় বিরক্ত হয়ে ব্র্যাডলি কুপার তাঁর প্রেমিকা ইরিনার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটিয়েছেন।
তখন তাঁদের দুজনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, ভালোই সময় কাটাচ্ছিলেন দুজন। লস অ্যাঞ্জেলেসে একসঙ্গে ক্রিসমাসও উদ্যাপন করেছেন চমৎকার। কিন্তু ব্র্যাডলির মায়ের সঙ্গে ইরিনার ঝগড়াঝাঁটির বিষয়টি একপর্যায়ে মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত ব্র্যাডলি কুপার আর ইরিনা শায়েকের সম্পর্ক ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়। গত বছর তাঁরা কন্যাসন্তানের মুখ দেখেন।
এদিকে আরেকটি খবর থেকে জানা যায়, ‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’ তারকা ব্র্যাডলি কুপার একসময়ে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। ছয় বছর আগে ‘জিকিউ’ ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছিলেন এই মার্কিন অভিনেতা।
সেই সাক্ষাৎকারে ব্র্যাডলি কুপার বলেছেন, ‘হলিউড অভিষেকের আগে খুবই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। জীবনের প্রতি রীতিমতো বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। ২০০২ সালে “অ্যালিয়াস’’ টিভি সিরিজে আমার চরিত্রটিকে কেটেছেঁটে একেবারে গুরুত্বহীন করে ফেলা হয়। তখন জীবনটাকে খুব তুচ্ছ মনে হচ্ছিল। একটা পর্যায়ে আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলাম আমি।’ তিনি আরও জানান, একসময় অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। অভিনয়ের বাইরে অন্য কোনো পেশা বেছে নেওয়ার জন্য হন্যে হয়ে কাজ খুঁজেছিলেন। এ ছাড়া ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরের কয়েকটি বছর মাদক ও অ্যালকোহলে আসক্তির কারণে পেশাজীবনে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’ ছবির জন্য অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ব্র্যাডলি কুপার তারকা।
পিবিএ/বিএইচ