ক্রিকেট ছেড়ে টেনিসে আসাটা জীবনের সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত: বার্টি

পিবিএ ডেস্ক: টেনিসে হাতেখড়ি হয়েছিল ছোটবেলাই। ২০১৪ সালে হঠাৎ খেলাটি থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাশলি বার্টি। ক্যারিয়ার গড়েন ক্রিকেটে। দুবছর আগে ক্রিকেটে ইস্তফা দিয়ে ফিরলেন টেনিসে। পরের সিদ্ধান্তটা যে মোটেও ভুল হয়নি তা এবারের ফরাসি ওপেনেই দেখিয়ে দিলেন বার্টি! হয়েছেন ফরাসি ওপেনের নতুন রানি।

ফাইনালে চেক রিপাবলিকের মারকেতা ভন্দ্রওশোভাকে উড়িয়ে দিয়েছেন বার্টি। শনিবার রোলা গ্যাঁরোয় মেয়েদের এককের ফাইনালে মাত্র ৭০ মিনিটের লড়াইয়ে সরাসরি ৬-১, ৬-৩ গেমের জয় পান ২৩ বছর বয়সী এই তরুণী। ক্যারিয়ারে এটাই এই অস্ট্রেলিয়ানের প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা।

টেনিসে এমন সাফল্য নিজেও আশা করেননি বলে জানালেন বার্টি, “এখানে আমি ফরাসি ওপেনের শিরোপা উঁচিয়ে ধরবো এমনটা আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। এমনকি আমি এটাও জানতাম না যে, এখানে বসে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলবো।”

ক্রিকেট ছেড়ে টেনিসে আসাটা জীবনের সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত ছিল বলে জানালেন বার্টি, “ওই সময় আমি যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম আমার মনে হয় এটা সেরা সিদ্ধান্ত। এমনকি সামনে যেসব সিদ্ধান্ত নিবো ঐগুলো থেকেও এটা সেরা সিদ্ধান্ত।”

বার্টির উত্থানটা চমকপ্রদ। পাঁচ বছর বয়সে টেনিসে হাতেখড়ি। জুনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে ২০১১ সালে উইম্বলডনে গার্লস সিঙ্গলস জেতেন। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরেও উঠে এসেছিলেন সেই সময়। সিনিয়র হিসেবে যদিও তার প্রথম সাফল্য আসে ডাবলসে। কেসি ডেলাকুয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ডাবলসের রানার্স-আপ হন। যার মধ্যে অস্ট্রেলীয় ওপেনও ছিল। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬। এর পরে ২০১৪ সালের শেষ দিকে বার্টি ঠিক করেন টেনিস থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটি নিয়ে ক্রিকেট খেলবেন। কারণ হিসেবে বার্টি বলেছিলেন, টেনিস খুব ‘এক কেন্দ্রিক’ খেলা।

তবে ক্রিকেটে বার্টির প্রথাগত কোনও প্রশিক্ষণ ছিল না। মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগ দল ‘ব্রিসবেন হিট’-এ চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। প্রায় বছর দুয়েক পর ২০১৬ সালে ফেরেন টেনিসে। পরের বছরই বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম কুড়িতে উঠে আসেন। গত মৌসুমে বার্টি প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ডাবলস খেতাব জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। সঙ্গী ছিলেন কোকো ভ্যান্ডেওয়েগে। সেই দৌড় ধরে রেখেই এবার সিঙ্গলসেও খেলোয়াড় জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য পেলেন তিনি।

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...