পিবিএ ডেস্ক: ‘প্রতিটি ধর্ষণের নিজস্ব প্রকৃতি রয়েছে। নাবালিকাদের ক্ষেত্রে যেটা ধর্ষণ, মধ্যবয়স্ক বা বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে কিন্তু ধর্ষণ বিষয়টা অন্য ব্যাপার।’ না, কোনও উন্মাদ বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি একথা বলেননি। ধর্ষণ নিয়ে এমনই আজব যুক্তি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের পনি সম্পদ, খনিজ ও পরিবেশ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী উপেন্দ্র তিওয়ারি।
এমন একটা সময় উপেন্দ্র তিওয়ারি এই মন্তব্য করেছেন, যখন নারী ও শিশুদের উপর একের পর এক ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে তার নিজের রাজ্যেই এবং এই যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে যোগী সরকার অনেকটাই ব্যাকফুটে।
সাম্প্রতিককালে আলিগড়ের মতো ধর্ষণের ঘটনায় বারবার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। গত ৩০ মে এক দু’বছরের শিশু কন্যাকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। তিনদিন পর উদ্ধার হয়েছে ওই শিশুটির মরদেহ।
ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে দুই অভিযুক্ত। খুনের কারণ হিসেবে ব্যবসায়িক জের অনুমান করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক কঠোর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে। আলিগড় বার অ্যাসোসিয়েশন অভিযুক্তদের কারও হয়ে মামলা লড়বে না বলে জানিয়েছে। শিশুকন্যার খুনের বিচার চেয়ে মোমবাতি মিছিল করেছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যোগী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য উপেন্দ্র তেওয়ারির এই মন্তব্য স্বভাবতই বিতর্ক তৈরি করেছে।
তবে ধর্ষণ সম্পর্কে নিজের রুচিবোধের পরিচয় দিয়েই থেমে যাননি উপেন্দ্র তিওয়ারি। টুইটারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে অপমানজনক ভিডিও আপলোডের অপরাধে যে সাংবাদিককে গ্রেফতার হতে হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
মন্ত্রীর পরামর্শ, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ঘটনা আপলোড করার আগে তথ্য খোঁজা প্রয়োজন।
পিবিএ/আরআই