পিবিএ,ঢাকা: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে তারারির নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে দুর্বিত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ তাবলীগ জামায়াতের মুসল্লি আব্দুর রহিম রাজন (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।
সোমবার দুপুর ১ টার দিকে বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। এরআগে গত ১৯ মে কটিয়াদি পূর্বপাড়া নিজ এলাকাতে আগুন হামলার শিকার হন রাজন।
তিনি তাবলীগ জামায়াত এর সাদ পন্থী মুসল্লি ছিলেন। তার বাবার নাম মোঃ মোস্তফা। স্ত্রী খুকি আক্তার ও একমাত্র ছেলে হুজাইফা (৩) সহ পরিবার নিয়ে গ্রামেই থাকতেন। এলাকাতেই স্কুল ব্যাগের ব্যাবসা ছিলো তার।
রাজনের তাবলীগ জামায়াতের সাথী মোঃ সায়েম পিবিএ’কে জানান, ১৯ মে, রোববার রাত ১১ টার দিকে উপজেলা সদরে সাব রেজিষ্টারের কার্যালয় এর সামনের রাস্তা দিয়া দোকান থেকে বাসায় ফেরার সময় দুর্বিত্তরা রাজনের গায়ে দাহ্য জাতীয় কিছু নিক্ষেপ করার পর আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে রাজন রাস্তার পাশে পানির ড্রেনের মধ্যে গড়াগড়ি খায়। এরপর তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি এসে তার শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলে। পরে ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করায়।
নিহত রাজনের ভাই আঃ রহমান জানান, ১৯ মে ওইদিন একটি তাবলীগ জামায়াতের দল ওই গ্রামের কলমোহন জামে মসজিদে যান রাজনের সাথে যোগাযোগ করে। রাজনসহ তারা সবাই মাওলানা সাদ পন্থী ছিলেন। ওই মসজিদে যাওয়ার পর ওই একই এলাকার মাওলানা জোবায়ের পন্থী মুসল্লি সোহেল (৩০), মাহমুদুল হাসান (৩৫) ও আরিফুল হক কলি (৩০) জামায়াতের দলটিকে মসজিদে থাকতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে রাজনের সাথে তাদের তর্কাতর্কিও হয়। পরে এলাকার লোকজন তাদের বুঝিয়ে দলটিকে মসজিদে জায়গা দেয়।
রাতে রাজন তারাবীহ নামাজ শেষে দোকান থেকে মশার কয়েল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলো। তখন পিছন থেকে ওই ৩ জনসহ আরো কয়েকজন তার শরীরে দাহ্য জাতীর কিছু নিক্ষেপ করে পরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
ঢামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাজনের পিঠ, হাত, পা সহ শরীরের বেশী ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিলো।
পিবিএ/এইচএ/হক
5 Attachments