পণ্যবাহী ট্রাকে অগ্নি সংযোগে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নিন্দা

পিবিএ,ঢাকা: চাঁদা না দেয়ায় দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের রাবার বাগান এলাকায় উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভোর রাতে পণ্যবাহী ট্রাক অগ্নি সংযোগে পুড়িয়ে দেয়াার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়া। সোমবার বিকেলে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমানের প্রেরিত ইমেল বার্তায় তিনি এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

উক্ত বার্তায় মামুন ভূইঁয়া বলেন ,১৯৯৭ সালের ২ রা ডিসেম্বর তথাকথিত শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি আসার কথা ছিল,মারা মারি হানা হানি ,খুন ধর্ষণ,অপহরণ বন্ধ হওয়ার কথা ছিল,সে জন্যেই সেনাবাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়ে ছিল। কিন্তু পাহাড়ে বাঙ্গালিদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিনত করে চুক্তির মাধ্যমে উপজাতীদের কে পাহাড়ের সকল ক্ষমতার শীর্ষে বসালে ও সন্তু লারমা ও প্রসীত বিকাশ খীষার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি। নিত্য তারা চুক্তির শর্তভঙ্গ করেছে। এ জন্যে তাদের প্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবী।

পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালিরা রোহিঙ্গাদের মতো জীবণ যাপন করতে হচ্ছে। উপজাতিরা, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের দ্বারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বার বার পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানালেও সরকার আমাদের দাবীর প্রতি কর্ণপাত না করার কারণে সন্ত্রাসীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে মামুন ভূইঁয়া আরো বলেন, বাঘাইছড়িতে নির্বাচনের প্রাক্কালে সংরক্ষিত মহিলা এমপি বাসন্তি চাকমার ইন্ধনে ৮ জন হত্যার বিচার না হওয়াতে এসব অপকর্ম বেড়ে চলেছে। বাসন্তি চাকমাকে ,ক্ষমা না চাইলে এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে,তাকে ও আমরা কোন ক্রমেই মেনে নিতে পারবোনা। পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকদের মতো জীবন জাপন করতে হচ্ছে। তারা বাঙ্গালীদের অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করার জন্য অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত মোটা অঙ্কের চাঁদা তুলেই যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে পণ্যবাহি ট্রাক পুড়িয়ে দিচ্ছে । এখন ব্যবসায়ীরা এসব চাঁদার কারণে ব্যাবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশে এ অরাজকতা আর চলতে দেয়া যায়না ।

যারা সন্ত্রাস,খুন,ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে জুম্মল্যান্ড করার সপ্ন দেখছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান মামুন ভূইঁয়া । প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা ব্যর্থ হলে পার্বত্যবাসীকে সাথে নিয়ে হরতাল ও অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো ।

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...