অগ্নিদগ্ধ তাবলিগ কর্মী রাজনের জানাযা সম্পন্ন

পিবিএ,কটিয়াদী,কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রতিপক্ষের হাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দীর্ঘ ২২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাবলিগ জামাতের কর্মী আব্দুর রহিম রাজন (২৭) সোমবার (১০ জুন) দুপুরে মারা যান।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কটিয়াদী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে জানাযা সম্পন্ন হয়। কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু শামা মোঃ ইকবাল হায়াৎ বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিএ’কে জানান সোমবার দুপুর দেড়টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। তাবলিগ জামাতের দ্বন্দের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশসহ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজন ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা মার্কাজের একজন সক্রিয় কর্মী। গত ১৯ মে রাতে কটিয়াদী সদরের কলামহল জামে মসজিদে তারাবীহর নামাজ শেষে কটিয়াদী সদরে মধ্য পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ফিরেন। পরে মসজিদে অবস্থানরত তাবলিগ জামাতের প্রয়োজনে রাত পৌনে ১১ টার দিকে পুণরায় বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। বাসা থেকে বের হয়ে কিছুদূর এগুতেই পাঁচ যুবক রাজনকে ধরে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। এ সময় তিনি চিৎকার করে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে পার্শবর্তী একটি ড্রেনে ঝাপিয়ে পড়েন। আর্ত চিৎকার শুনে তার পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে সে রাতেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রাজনের শরীরের প্রায় সত্তর শতাংশ পুড়ে যাওয়ার কথা বলে সংকটাপন্ন অবস্থার কথা জানান।
এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নেয়ার সময় স্বজনদের কাছে রাজন তার শরীরে আগুন লাগানোর বিস্তারিত বর্ণণা দেন। তার সূত্র ধরে একদিন পর ২১ মে রাজনের মামা মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে কটিয়াদী থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মাহমুদুল হাসান ও সোহেল মিয়া নামে এজাহার ভুক্ত দুজনকে আটক করে। বর্তমানে ওই দুজন কিশোরগঞ্জ কারাগারে আছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাজনের সাথে অবস্থান করা তাবলিগ কর্মী এস.এম সোহেল রানা জানান, রাজন ছিল সাদ পন্থী তাবলীগ কর্মী। তাই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাওলানা জুবায়ের পন্থীরা তাকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
আব্দুর রহিম রাজন কটিয়াদী সদরের পূর্বপাড়া ম¯তুফা মিয়ার ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক শিশু পুত্রের জনক ছিলেন।

পিবিএ/এমএস/হক

আরও পড়ুন...