পিবিএ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী গোবিন্দ মহাপ্রভু মন্দির একটি প্রাচীনতম মন্দির।এই মন্দিরের প্রায় দুইশ বছর পুরোনো। মন্দিরটি অরক্ষিত নয়। মন্দিরের কারু শিল্প এক অপূর্ব নিদর্শন। যা দর্শনার্থীদের মনোমদ্ধোকর। তবে সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে মন্দির কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শশিভূষণ নাথের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ও অস্বচ্ছতার অভিযোগও করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হিন্দু। এ নিয়ে হিন্দুদের মাঝে চরম তীব্র ক্ষোভের আগুন ঝলছে।
আরো জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল দালাল বাজার, শ্রী শ্রী গোবিন্দ মহাপ্রভু জিউআখড়া দীর্ঘদিনের বির্তকিত কমিটির বিষয় নিয়ে সমস্যা অবসানের উদ্যোগ নেয়।তারই নির্দেশ ক্রমে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল রিদোয়ান আরমান শাকিল, গোবিন্দ মহাপ্রভু জিউআখড়ার মন্দির পরিচালনার কমিটির ছয় সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আহবায়ক কমিটির সাথে যোগাযোগ না করেই তার খামখেয়ালী মন্দিরের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে ,মন্দির কমিটির সহসাধারন সম্পাদক গোবিন্দ অধিকারী বলেন ,দুই বছরের নয় লক্ষ টাকার ব্যায়ে যে হিসাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।২ লাখা টাকা বাড়তি খরচ দেখানো হয়েছে।এছাড়াও পূর্বের জমানো ৬ লাখ টাকা কোনো হিসাবে দেখানো হয়নি। মন্দিরের জমি দখলকারীদের সাথে আতাত করে নিজ আর্থিক লাভের আশায় স্থাায়ীভাবে নির্মাণের জন্য পুকুরের পানি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন ভারপ্রাপ্ত শশিভূষণ দেবনাথ। এসকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কমিটির সদস্য খোকন বিষ্ণুকে আওয়ামীগ নেতা নুর নবী চৌধুরী মারধর করে দেখে নেওয়ার হুমকী দেন।
এবিষয়ে কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শশিভূষণ নাথ বলেন আমি সব কিছু নিয়ম মাফিক চালাচ্ছি এখানে অনিয়মের কিছু নেই।১২ লক্ষ টাকা আয় ব্যবত জমা আছে তবে আয়ের টাকা ব্যাংকে কত জমা আছে সে বিষয়ে জানাননি তিনি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সারোয়ার জাহান কে মুঠোফোনে এই বিষয়ে কোন অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমার এই ব্যাপারে কিছুই জানা নেই।
পিবিএ/এএইচ/হক